ব্রিটেনের বিদায় প্রক্রিয়া নোংরা বানানো অপ্রয়োজনীয়: অঙ্গেলা মের্কেল
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০১৬, ১৪:১৮
ব্রিটেনে বৃহস্পতিবারের গণভোট রাতারাতি পাল্টে দিয়েছে অনেক কিছু। ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এতো বছরের সম্পর্কের মাঝেও যেন শুরু হয়েছে একধরনের টানাপড়েন। ইইউ ছাড়ার পক্ষে গণভোট পড়লেও এখন ব্রিটেন বলছে, তারা কোনও তাড়াহুড়ো না করে ধীরে-সুস্থে, সময় নিয়ে নিজেদের বিদায় প্রক্রিয়া শুরু করতে চায়। যদিও ইইউ বলছে, প্রক্রিয়া শুরু হতে দীর্ঘসূত্রতা হলে এটি তাদের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে।
তবে ইওরোপের অন্যতম প্রধান শক্তিশালী নেতা জার্মানির অঙ্গেলা মের্কেল বলেছেন, ব্রিটেনকে অহেতুক দ্রুতগতির সঙ্গে কাজ করতে তাড়া দেয়ার পক্ষে তিনি নন। পাশাপাশি মিজ মের্কেল এটিও বলেছেন যে, ব্রিটেনের এই বিদায় প্রক্রিয়া নিয়ে যে আলাপ-আলোচনা হবার কথা সেটি 'নোংরা বানানোর কোনা প্রয়োজন নেই'।
এদিকে ব্রিটেনের ইওরোপিয়ান কমিশনার লর্ড হিল ইতোমধ্যেই নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। কারণ পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে তিনি আর স্বপদে বহাল থাকা যৌক্তিক মনে করছেন না। তবে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করার জন্য তিনি আরও কয়েক সপ্তাহ পরে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে ইওরোপের রাজনৈতিকদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন, ইউরাপীয় ইউনিয়নকে ঢেলে সাজানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। ফরাসি অর্থমন্ত্রী এমানুয়েল ম্যাক্রন বলেছেন, ইইউকে একটি নতুন রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী লার্স রাসমুসেন বলেন, ইইউর এখন দরকার শক্তি পুনরুদ্ধার করা এবং যেখানে জাতীয় সরকার বেশি শক্তিশালী সেখান থেকে দূরত্ব বজায় রাখা।
এদিকে কিছু ব্রিটিশ নাগরিক এখন ভোটের ফলাফল বাতিলের ব্যবস্থা নিতে প্রস্তাব দিচ্ছেন। লেবার পার্টির এমপি ডেভিড ল্যামি বলেছেন, পার্লামেন্টের উচিত এই পাগলামি বন্ধ করা এবং এই গণভোট অনুমোদন দেয়া উচিত নয়।
অন্যদিকে দ্বিতীয় দফা গণভোটের দাবিতে কুড়ি লাখ সাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে যারা ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছিল তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছেন ‘তোমরা হেরেছ, সুতরাং এটা মেনে নাও’।
সূত্র : বিবিসি বাংলা