নদী নিয়েই মমতার যত ‘না’
প্রকাশ : ০৫ মে ২০১৭, ১৬:০০
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নদী নিয়ে যত আপত্তি। বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে তার জোরালো আপত্তি রয়েছে। আত্রেয়ী নদীর রাবার বাঁধ থেকে পানি ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এরই মধ্যে আবার নদী সংযুক্তকরণে সায় দেননি। মমতার সায় না থাকায় থমকে দাঁড়িয়েছে মোদির ‘নমামি গঙ্গা’ প্রকল্প। মোদি চেয়েছেন গঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করতে ও নতুনভাবে সাজাতে। এই প্রকল্পের আওতায় মানস-সংকোশ-তিস্তা-গঙ্গা নদীকে সংযুক্তসহ পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গা নদীর পাড়ও বাঁধাতে চান তিনি।
কলকাতার সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, নমামি গঙ্গা’ প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে এসে থমকে দাঁড়িয়েছে। দিল্লির বরাত দিয়ে কলকাতার দৈনিক যুগশঙ্খ এক খবরে বলেছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে বেঁকে বসেছেন।
মমতার এই অসহযোগিতার কারণে কেন্দ্রীয় জলসম্পদমন্ত্রী উমাভারতী বলেই দিয়েছেন, তার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিল্লির বৈঠকে যোগ দিতে গরজ দেখায়নি। এতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গা নদী ২৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ। জলসম্পদমন্ত্রী উমাভারতী বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের এ বড় অদ্ভুত আচরণ। ওরা কোনো বৈঠকে আসে না। আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বলেছিলাম, অন্তত একজন প্রতিনিধি বৈঠকে পাঠানো হোক। পশ্চিমবঙ্গের তিনটি নদীর পাড় উন্নয়নের তিনটি প্রকল্প রয়েছে। গঙ্গাসাগর, বেলুড় এবং দক্ষিণেশ্বর।
মন্ত্রীর অভিযোগ, এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে রাজ্য সরকার কোনো ভূমিকা নেয়নি। ফলে এগুলোর কাজ শুরু করা যায়নি।
এবিষয়ে মমতার মতামত, উত্তরবঙ্গের মানস-সংকোশ-তিস্তা-গঙ্গা নদীর সংযুক্ত করা হলে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে তিনি এই প্রকল্পে সায় দিতে পারেন না। তিস্তা নদীর পানিবণ্টন প্রশ্নেও একই কথা বলেছিলেন মমতা। তিনি বলেছিলেন, এতে পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।