গ্রেপ্তার হলেন পার্ক জিউন-হাই
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০১৭, ১৪:৩৯
আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ৬৫ বছরের পার্ক জিউন-হাইকে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত পার্কের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন মঞ্জুর করার পর স্থানীয় সময় ৩১ মার্চ, শুক্রবার প্রথম প্রহরে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পার্ককে রাজধানী সিউলের দক্ষিণের একটি ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রায় নয় ঘণ্টার শুনানি শেষে ৩০ মার্চ, বৃহস্পতিবার সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে আদালত পার্কের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
আদালতের রায়ে বলা হয়, “জনাব পার্কের বিরুদ্ধে আনা প্রধান অভিযোগগুলো ন্যায্য এবং যেহেতু এখানে প্রমাণ নষ্ট করার ঝুঁকি রয়েছে তাই তাকে গ্রেপ্তার প্রয়োজন এবং সমর্থনযোগ্য।”
আদালতের আদেশ অনুযায়ী পার্কের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়েরের আগে তাকে সর্বোচ্চ ২০ দিন আটক করে রাখা যাবে।
টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারে দেখা যায়, মধ্যরাতের পরপর কালো রঙের একটি সেডান গাড়িতে করে কৌসুঁলির কার্যালয়ে অপেক্ষারত পার্ককে ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওই সময় কৌসুঁলির কার্যালয়ের সামনে তার প্রায় ৫০ জন সমর্থক জাতীয় পতাকা হাতে নেতার মুক্তির দাবি জানান।
ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির খবর অনুযায়ী, পার্ক দক্ষিণ কোরিয়ার তৃতীয় সাবেক প্রেসিডেন্ট যাকে দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার করা হলো।
উল্লেখ্য, গতবছরের মাঝামাঝি সময়ে ব্যক্তিগত লাভের লক্ষ্যে বান্ধবীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি ব্যবহার করেছেন এমন অভিযোগে সংসদে ও রাজপথে পার্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।
এরই প্রেক্ষিতে গত ডিসেম্বরে পার্ককে অভিশংসনের পক্ষে রায় দেয় পার্লামেন্ট। মার্চে দেশটির সাংবিধানিক আদালত ওই রায় বহাল রাখে।
পার্কের অভিশংসনের সিদ্ধান্তের পর থেকে প্রধানমন্ত্রী ওয়াং কিও-আহন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী ৯ মে নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির মন্ত্রিসভা। তবে নির্বাচনে ওয়াং কিও-আহন প্রার্থী হবেন না।
যদি পার্ক দোষী সাব্যস্ত হন তবে তার ১০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে। তবে যাবতীয় দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পার্ক। পাশপাশি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।