অস্ট্রিয়ায় নেকাব ও বোরকা নিষিদ্ধ
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৩:২৪
নেকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে অস্ট্রিয়া। সরকার দেশটিতে বেশ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। তারই একটি হলো নেকাব ও বোরকা নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা।
দেশটির ক্ষমতাসীন জোট সরকার প্রকাশ্য স্থানে পুরো মুখ ঢেকে রাখার নেকাব নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে একমত হয়েছে। মুক্ত সমাজের ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্যে প্রয়োজন খোলামেলা যোগাযোগ। প্রকাশ্য স্থানে এরকম পুরো মুখ ঢেকে রাখার পর্দাপ্রথা এর প্রতিবন্ধী আর এ কারণেই এসব নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, যারা সরকারি চাকরি করেন তাদের মাথায় স্কার্ফ বা হিজাব কিংবা অন্যান্য ধর্মীয় প্রতীক পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথাও সরকার বিবেচনা করছে। সোশাল ডেমোক্র্যাট ও রক্ষণশীল পিপলস পার্টির মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে দরকষাকষির পর এই সমঝোতা হয়েছে।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অস্ট্রিয়ায় দেড়শো জনের মতো নারী নেকাব পরেন। তবে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে এর ফলে উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে আসা নারী পর্যটকের সংখ্যা কমে যেতে পারে।
সরকারের একজন মুখপাত্র অস্ট্রিয়ার একটি সংবাদপত্রকে বলেছেন, ভিয়েনার কেন্দ্র থেকে শুরু করে স্কি করার জায়গাগুলোতেও এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
ফ্রান্স ও বেলজিয়াম ২০১১ সালে বোরকা নিষিদ্ধ করেছে। আর একই ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে হল্যান্ডের পার্লামেন্টেও।
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলও গত মাসে বলেছিলেন, পুরো মুখ ঢেকে রাখার নেকাব তার দেশেও নিষিদ্ধ হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। তিনি জানান, আইনগতভাবে যেখানেই এটি করা সম্ভব সেখানেই তা করা হোক।