মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০১৬, ১২:৪৯
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আল কায়েদা হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
আগামী ৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই হামলা নির্বাচনের আগে কিংবা নির্বাচনের দিন হতে পারে বলে কর্মকর্তাদের শঙ্কা।
কর্মকর্তারা জানান, নিউ ইয়র্ক, টেক্সাস ও ভার্জিনিয়ায় এই হামলা হতে পারে। এজন্য এসব অঙ্গরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় কিছু গোয়েন্দা সংস্থা স্থানীয় ও বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তাদের হামলার হুমকির বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন। তবে এই হুমকি ততটা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আল কায়েদার হুমকি সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল এবং নির্বাচনের দিন কিংবা তার আগে-পরে যে হামলার আশঙ্কা আছে, সে বিষয়ে তারা সচেতন।
মার্কিন টেলিভিশন সিবিএস নিউজ সর্বপ্রথম আল কায়েদার হামলার এই হুমকি সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তারা বলে যে, নির্বাচনের আগের দিন সোমবার (৭ নভেম্বর)এ হামলার আশঙ্কা রয়েছে।
এক মার্কিন গোয়েন্দা বলেছেন, এই ধরনের ছোটখাট হুমকি তারা প্রায়ই পেয়ে থাকেন। তবে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ায় এবারের হুমকিতে বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, হয়ত আমাদেরকে ভুল পথে পরিচালিত করার জন্য এ হুমকি দেওয়া হয়েছে। অথবা আরেকটি হতে পারে যে, কোথায় হামলা চালাতে হবে এ বিষয়ে অন্য কারো মনোযোগ আকর্ষণের জন্য এ হুমকি দেওয়া হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির বন্দর কর্তপক্ষের মুখপাত্র স্টিভ কোলম্যান জানিয়েছেন, তারা নিউ ইয়র্ক সিটির বিমান বন্দর, টানেল ও ব্রিজগুলোতে (যেগুলো তারা পরিচালনা করে থাকেন) উচ্চ পর্যায়ের টহল শুরু করেছেন।
কোলম্যান আল কায়েদার হামলার হুমকি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
তবে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, হামলার হুমকি সুনির্দিষ্ট নয় এবং এখনো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, হামলার হুমকি সম্পর্কে আমরা জেনেছি। এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ও জয়েন্ট টেররিজম টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে আমাদের বিভাগ কাজ করছে।
যদিও সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের দিকে বেশি ঝুঁকেছে, আল কায়েদাকে এখনও তারা বড় সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবেই বিবেচনা করে।
তথ্যসূত্র : রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক টাইমস ও বিবিসি