রাশিয়ার যুদ্ধ মহড়ায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত!
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০১৬, ১১:৩১
আবারও শক্তি পরীক্ষা করল রাশিয়া। নিউক্লিয়ার অস্ত্র বহনে সক্ষম দ্রুতগতির ইঞ্জিনবিহীন ওয়্যারহেডের সফল পরীক্ষা চালাল রাশিয়া। এটি ৪২০২ নামেও পরিচিত। এই প্রথমবারের মতো সেকেন্ডে সর্বোচ্চ সাত কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছতে সক্ষম এই ওয়্যারহেডের সম্পূর্ণ সফল পরীক্ষা চালানো হল। এক প্রতিবেদনে এমনটাই খবর জানিয়েছে রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম রাশিয়া টুডে।
মঙ্গলবার রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় ওরেবার্গ অঞ্চলের দমবারোভস্কি এলাকা থেকে দেশের পূর্বাঞ্চলীয় কামচাটকার কুরা অঞ্চল অভিমুখে ওয়্যারহেডটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই ওয়্যারহেডটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা ব্যুহ ভেদ করতে সক্ষম।
এছাড়াও পরমাণু যুদ্ধের মহড়ায় ব্যস্ত দেশটি। ৪ কোটি রুশ নাকি সেই মহড়ায় অংশ নিয়েছে! সেইসঙ্গে সুপার পরমাণু অস্ত্র RS-২৮ সরম্যাটকেও এবার সামনে এনেছে মস্কো। আর এসবেই ঘনিয়ে আসছে আশঙ্কা। রাশিয়ার এই পদক্ষেপ কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত? তবে কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন?
সম্প্রতি রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। দুদেশের মধ্যে ঠান্ডাযুদ্ধ চলছেই। আর সেই পরিস্থিতিতেই রাশিয়া বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের পরমাণু অস্ত্রসম্ভার পরীক্ষা-নিরীক্ষার বহর। উন্নত করা হয়েছে বম্ব শেল্টার। পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে গ্যাস মাস্ক। এমনকী যুদ্ধ বাঁধলে সাধারণ নাগরিকরা কী করে নিজেদের বাঁচাবেন, শেখানো হচ্ছে সে পদ্ধতিও। রাসায়নিক যুদ্ধের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না মস্কো।
সেইসঙ্গে মস্কো এবার সামনে নিয়ে তাদের অস্ত্র সম্ভারের নতুন সংযোজন RS-২৮। ২০১৮ সালে এটি রুশ সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তি হওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগেই পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম সর্ববৃহৎ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএম আরএস-২৮ সামারসাত প্রকাশ্যে নিয়ে আসল মস্কো। আর যা দিয়ে ফ্রান্সের মতো বিশাল ভূখণ্ড পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব। অনলাইনে এটির ছবি প্রকাশ করেছেন রুশ মাকিইয়েভে রকেট ডিজাইন ব্যুরোর প্রধান নকশাবিদ।
শুধু তাই নয়, কয়েকধাপে বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। সেখানে দাঁড়িয়ে মস্কোর একের পর এক শক্তি পরীক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সামরিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আমেরিকার সঙ্গে ক্রমশ সংঘাতে জড়াচ্ছে রাশিয়া। শুধু তাই নয়, নজিরবিহীনভাবে রাশিয়ান সীমান্তে বিশাল সমরসজ্জা সাজাচ্ছে ন্যাটো। এই জাবতকালে এমন সেনা মোতায়েন রাশিয়ান সীমান্তে আর হয়নি বলেই মত রাজনৈতিকমহলের। সেখানে দাঁড়িয়ে নিজেদের আত্মরক্ষা করতে মুহুর মুহুর শক্তি পরীক্ষা করছে রাশিয়া। অনেকের শঙ্কা, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত বেঁধে যেতে পারে।