ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আবারও যৌন হয়রানির অভিযোগ
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০১৬, ১৪:৩৪
নারীদের প্রতি আচরণ ও মন্তব্যের কারণে বিতর্কিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরো দুই নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন।
বিবিসি বলছে, যৌন হয়রানির অভিযোগকারী দুজনের একজন সামার জারভোস জানান, ২০০৭ সালের দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক করার চেষ্টা করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, চাকরির ব্যাপারে কথা বলার জন্য একটি হোটেলে তাকে ডেকে নিয়ে ট্রাম্প ওই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। আর তিনি তাতে বাধা দিলে স্বল্প বেতনের একটি চাকরির অফার দেন ট্রাম্প।
অপর অভিযোগকারী, ক্রিস্টিন অ্যান্ডারসন বলেছেন, গেল শতকের নব্বই দশকে নিউ ইয়র্কের একটি ক্লাবে ওয়েট্রেস হিসেবে কাজ করা কালীন ওই ঘটনা ঘটেছিল। হঠাৎ একদিন ওই ক্লাবে ট্রাম্প তাকে জড়িয়ে ধরে কাপড়ের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দেন।
ক্রিস্টিন অ্যান্ডারসন বলেন, তার দিকে না তাকিয়েই কোনো কথাবার্তা না বলেই ট্রাম্প এমন আচরণ করেছিলেন। ভাবখানা এমন ছিল, তার সঙ্গে ওই ধরনের আচরণ করলে ট্রাম্পের কিছুই হবে না।
এর আগে ১২ অক্টোবর নিউ ইয়র্ক টাইমস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জেসিকা লিডস (৭৪) ও র্যাচেল ক্রুকস (৩৪) নামের দুই নারীর অভিযোগ প্রকাশ করে।
সেখানে জেসিকা লিডসের অভিযোগ ছিল, তিন দশক আগে নিউ ইয়র্কগামী একটি উড়োজাহাজে পাশের সিটে থাকা ট্রাম্প যৌন উদ্দেশ্য নিয়ে তার শরীরে হাত দেন।
লিডস বলেন, “অক্টোপাসের মত তার হাত যেন আমার শরীরের সবখানে বিচরণ করছিল। এটা ছিল মারাত্মক অপমান।”
নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, সে সময় লিডসের বয়স ছিল ৩৮ বছর। ওই ঘটনার পর ফার্স্ট ক্লাস থেকে সরে গিয়ে তিনি ইকোনমি ক্লাসে বসেন।
ট্রাম্প গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রচার শুরুর আগ পর্যন্ত ওই ঘটনা নিজের মধ্যেই চেপে রেখেছিলেন ম্যানহাটানের বাসিন্দা লিডস।
তিনি বলেন, “ট্রাম্প যা করেছে, তার তার চরিত্রেরই অংশ। যারা তাকে ভোট দেবেন, তারা এ বিষয়টিও ভেবে দেখবেন আশা করি।”
২০০৫ সালে ট্রাম্প টাওয়ারে রিসিপশনিস্টের কাজ করা র্যাচেলের অভিযোগ, একদিন একটি লিফটের বাইরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঠেঁটে চুমু দিয়ে বসেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, “ওটা ছিল খুব অশালীন। সে আমাকে এতটাই দুর্বল ভেবেছিল যে, মনে করেছিল আমার সঙ্গে এসব করাই যায়।”
এর আগে মাইন্ডি ম্যাকগিলভারি নামে আরেক নারী পাম বিচ পোস্টকে বলেছিলেন, ২০০৩ সালে ফ্লোরিডার মার-এ-লোগো ক্লাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিতম্ব স্পর্শ করেন।
তবে বরাবরের মতোই এবারো এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। এর আগের সব অভিযোগও ‘প্রত্যাখ্যান’ করে ট্রাম্প শিবির বলেছে, এর কোনো সত্যতা নেই।