সু চির পরামর্শক কমিশনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৬:৩৯
গত বছর মিয়ানমারের ইতিহাসে প্রথম অবাধ নির্বাচনে বিশাল জয় পাওয়া এনএলডি-র জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেয় মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের সঙ্গে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের সংঘাত। এই সমস্যার কারণে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) প্রধান নেতা সু চির ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছিল, মানবাধিকারের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে কথা উঠেছে।
সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানকে প্রধান করে নয় সদস্যের পরামর্শক কমিশন গঠন করেন সু চি। কিন্তু ঐ কমিশনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে দেশটির শত শত মানুষ।
মঙ্গলবার আনান সহ কমিশনের নয় সদস্য দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে দুই দিনের এক সফরের শুরুতেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
রাখাইন রাজ্যের প্রভাবশালী দল আরাকান ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) কিছু নেতা এই প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। তারা কমিশনের সমালোচনা করে বলেছেন, বিদেশিরা তাদের এলাকার ইতিহাস বুঝবে না।
এএনপি-র নির্বাহি কমিটির সম্পাদক অং থান ওয়াই বলেন, “এই দেশ সার্বভৌম, তাই আমরা আমাদের স্থানীয় বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ মেনে নেবো না।”
সিত্তওয়িতে দুদিনের সফরে এক সভায় আনানের ভাষণ দেওয়ার ও স্থানীয় রোহিঙ্গা ও বৌদ্ধ রাখাইন সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে। রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়ি বিমানবন্দরের বাইরে কয়েক ডজন পুলিশের পেছনে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বিক্ষোভকারীদের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা ও বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ছিলেন। কমিশনকে ‘বিদেশি হস্তক্ষেপে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিহিত করছেন তারা। বিমানবন্দরে আনানদের বহনকারী বিমানটি নামার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভকারীদের চিৎকার বেড়ে যায়। তারা কমিশনের গাড়িবহরের পেছনে পেছনে শহরের দিকে এগিয়ে যায়।
কাইয়াও জিন ওয়াই নামের ৫২ বছর বয়সী এক প্রবীণ বলেন, “এই কমিশনে আমি বিদেশিদের দেখতে চাই না। আমি এমন একটি কমিশন দেখতে চাই যার মধ্যে রাখাইন নাগরিক যুক্ত থাকবে।”
সু চির গঠন করা কমিশনের দুই রাখাইন সদস্য রাখাইন রাজ্যের জনগণের ‘প্রতিনিধিত্ব’ করে না বলে দাবি করেছেন তিনি।