করোনায় মৃত্যু দেখতে দেখতে চিকিৎসকের আত্মহত্যা
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২০, ১৯:৩৪
করোনায় যুক্তরাষ্ট্রের মৃত্যুর মিছিল দেখতে দেখতে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন দেশটির শীর্ষ চিকিৎসক লরনা ব্রিন। ২৭ এপ্রিল (সোমবার) নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। নিউইয়র্ক প্রেসবিটেরিয়ান অ্যালেন হসপিটালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা পরিচালক ছিলেন লর্না। ৪৯ বছর বয়সী এ চিকিৎসক ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিলে নিজের পরিবারের সঙ্গে ছিলেন। সেখানেই তিনি মারা যান।
লর্না করোনা মোকাবেলায় সামনের সারিতে থেকে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। এই চিকিৎসক করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে নিজেও কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর পর সুস্থ হয়ে আবার নেমে পড়েছিলেন করোনা মোকাবেলায়। মৃত্যু দেখতে দেখতে শেষ পর্যন্ত নিজেই আত্মহত্যা করে বসেন।
বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক সিটির বাসিন্দা ডা. লরনা ম্যানহাটনের নিউইয়র্ক-প্রেসবাইটেরিয়ান অ্যালেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পরিচালক ছিলেন। ২০০ শয্যার হাসপাতালটিতে বহুসংখ্যক মানুষ মারা গেছে করোনায়।
৪৯ বছর বয়সী এ চিকিৎসক রবিবার নিজের শরীরে আঘাত করে আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। সেই সময় তিনি ভার্জিনিয়ায় নিজের পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন।
ডা. লরনার বাবা ফিলিপ ব্রিন নিজেও একজন চিকিৎসক। তিনি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, লরনা তার কাজটি করে যাচ্ছিল এবং এটিই তাকে হত্যা করেছে।
তিনি জানান, ‘তার মেয়ের কোনো ধরনের মানসিক অসুস্থতা ছিল না। বরং মরদেহর সারি দেখতে দেখতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।’
ফিলিপ ব্রিন জানান, ‘হাসপাতালে কাজ করতে করতে তার মেয়েও করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। পরে সুস্থ হয়ে দেড় সপ্তাহ পর আবার কাজে ফিরে গিয়েছিল। তবে পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে আবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিল।’
সর্বশেষ যখন কথা বলছিলেন মেয়েকে অনেকটাই ‘বিচ্ছিন্ন’ ও মনমরা মনে হয়েছিল ফিলিপের।
ফিলিপ ব্রিন আরও বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে একেবারে খাদের সামনে গিয়ে লড়ছিল সে। আমি নিশ্চিত হয়েছি সে একজন বীর হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।’