ক্ষুধায় মৃত্যু নোরার, নেই কোন অপরাধের আলামত
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০১৯, ১৫:৪০
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে রিসোর্ট থেকে নিখোঁজ আইরিশ কিশোরী নোরা কুইরিন (১৫) অপরহরণ বা যৌন হেনস্তা নয় বরং ক্ষুধাজনিত রক্তক্ষরণের কারণে মারা গেছে বলে দাবি করেছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। তার মৃত্যুতে অন্য কোন অপরাধের আলামত পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেছে তারা। এ ঘটনাকে নিখোঁজ মামলা বলে চিহ্নিত করেছে মালয়েশিয়া পুলিশ।
গত ১৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়া পুলিশ এর বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর জানায়।
নোরার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রদেশের পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ মাত ইউসুপ বলেন, "লাশ উদ্ধারের দুই থেকে তিনদিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুধার ফলে অন্ত্রনালীতে রক্তক্ষরণ এবং প্রচণ্ড মানসিক চাপে ভুগে মৃত্যু হয়েছে নোরার। জঙ্গলে থাকার ফলে তার শরীরে কিছু আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া গেলেও তা সন্দেহজনক নয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্য কোনো অপরাধের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
নোরার বাবা-মা এখন মরদেহ নিয়ে যেতে পারেন বলেও জানিয়েছে মালয়েশিয়া পুলিশ।
এদিকে নোরার মৃত্যুতে কোনো রকম অপরাধ-সংশ্লিষ্টতা নেই এত দ্রুত এমন দাবি মেনে নিতে পারছেন না নোরার পারিবারিক আইনজীবী চার্লস মোরেল। এ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের সব তথ্য খতিয়ে দেখতে আরও অপেক্ষা করা দরকার।
উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট ১৫ বছর বয়সী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নোরাকে নিয়ে তার বাবা-মা যুক্তরাজ্য থেকে মালয়েশিয়ায় বেড়াতে আসেন এবং কুয়ালালামপুর সংলগ্ন দুসান রিসোর্টে অবস্থান নেন। গত ৪ আগস্ট সকালে ঘুম থেকে উঠে নোরার বাবা দেখেন, নিজের কক্ষ থেকে নিখোঁজ হয়ে গেছে নোরা। এসময় নোরার ঘরের জানালা খোলা দেখতে পান তারা। নোরার পরিবারের দাবি, একা একা সে কোথাও যাতায়াত করতো না।
এরপর নোরার খোঁজে ৩৫০ পুলিশ সদস্য গভীর জঙ্গলে অভিযান চালান। এসময় নোরাকে ফিরে পেতে তার বাবা-মা ১০ হাজার পাউন্ড পুরস্কারও ঘোষণা করেন।
শত শত উদ্ধারকর্মী, হেলিকপ্টার ও ডগ স্কোয়াড এর সহায়তায় দশ দিনব্যাপী উদ্ধার অভিযান শেষে গত ১৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) গভীর জঙ্গল থেকে নগ্ন অবস্থায় নোরার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।