সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা: নিহত ৭০, অধিকাংশই নারী-শিশু
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০১৮, ১৩:৪০
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে বিদ্রোহীদের শক্তিশালী ঘাঁটি ডুমায় সন্দেহজনক রাসায়নিক হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছে শতাধিক। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
ওই এলাকায় কর্মরত উদ্ধারকারী দল এ হামলার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী ত্রাণ সংস্থাটি দ্য হোয়াইট হেলমেটস জানিয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। টুইটার বার্তায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি কিছু গ্রাফিক্স ছবি দিয়ে টুইট করেছে। জানিয়েছে যে ভবনটিতে বিস্ফোরণ হয়েছে তার নিচের অংশে কিছু মৃতদেহ থাকতে পারে।
সংস্থাটির প্রধান রায়েদ আল সালাহ বলেন, ক্লোরিন গ্যাস এবং আরও কিছু শক্তিশালী গ্যাস ডুমায় নিক্ষেপ করা হয়েছে। হোয়াইট হেলমেটের স্বেচ্ছাসেবকরা জনগণকে যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আহতের উদ্ধার করে পায়ে হেঁটে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে হচ্ছে কেননা বেশিরভাগ গাড়ি ও পরিসেবা কেন্দ্র এলাকার বাইরে চলে গেছে।
এ ঘটনায় বিরোধীপন্থী ঘৌটা মিডিয়া সেন্টার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, রাসায়নিক হামলায় দমবন্ধ হয়ে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও প্রায় এক হাজার ব্যক্তির ওপর সরাসরি ওই হামলার প্রভাব পড়েছে। তারা অভিযোগ করেছে, হেলিকপ্টার থেকে সারিন নামের বিষাক্ত নার্ভ গ্যাসবোঝাই ব্যারেল বোমা ফেলা হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। আর যদি সেখানে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাহলে রাশিয়াকেও এর দায় নিতে হবে। কারণ তারা আসাদ বাহিনীর সঙ্গে মিলে সিরিয়ায় লড়াই করছে।
এদিকে পশ্চিমা গণমাধ্যমে হতাহতের এমন খবর প্রকাশিত হলেও দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। উল্টো তারা অভিযোগ এনেছে, ডুমায় গ্যাস হামলার ঘটনার কোনো ভিত্তি নেই। তারা এ অভিযোগকে ‘অতিরঞ্জিত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।