মশা মারতে রাডার তৈরি চীনের
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০১৮, ১৬:৪৫
সামান্য ব্যাপারে বৃহৎ আয়োজন কথাটা বুঝাতে বাংলায় প্রচলিত ‘মশা মারতে কামান দাগা’ এই প্রবাদটিকে পরিবর্তনের সময় আসন্ন। কারণ এবার মশা মারতে মাঠে নেমেছে চীনের সেনাবাহিনী। চীনা সেনার নতুন শত্রু এখন মশা।
মশার সাথে যুদ্ধ করতে বেশ আটঘাট বেধেই নেমেছে চীনের বিশাল সেনাবাহিনী। মিসাইল টেকনোলজি ব্যবহার করে মশা খুঁজতে রাডারও বানিয়েছে দেশটি। ‘মিলিটারি গ্রেড’ এই রাডার বেজিং ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ডিফেন্স ল্যাবরেটরিতে তৈরি হচ্ছে। এটা মূলত ‘কাটিং এজ’ রাডার। আশেপাশের প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে একটিও মশা খুঁজে পেলে এই রাডার জানান দেবে। আপাতত যন্ত্রটির প্রোটোটাইপ তৈরি। ঠিক মশা মারতে নয়, প্রাথমিক ধাপে মশা খুঁজে পেতে তৈরি হচ্ছে এই যন্ত্র। শত্রুকে নিধন করতে হলে আগে তাকে চিহ্নিত করা জরুরি, এই মন্ত্রে জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের গবেষণা।
এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সাফল্য পেলে মানবজাতির পক্ষে আশীর্বাদ হয়ে উঠবে এই যন্ত্র।
যন্ত্রটির কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, এই যন্ত্র থেকে এক ধরনের তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ বের হবে, যা আশেপাশের ২ কি.মি. পর্যন্ত থাকা মশাদের খুঁটিনাটি চরিত্রও জানিয়ে দেবে কন্ট্রোল রুমে বসে থাকা বিজ্ঞানীদের। মশাটি কোন জাতের, সেটির লিঙ্গ, কত জোরে উড়ছে বা কোনদিকে উড়ে যাচ্ছে, সবই ল্যাবে বসেই জানা যাবে। তারপর সেটি কীভাবে নিধন করা যায়, তার পন্থা খোঁজা হবে।
প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত শীর্ষকর্তারা জানান, আধুনিক সভ্যতার জন্য মশা একটি অভিশাপ। মশার মাধ্যমে অনেক জটিল রোগের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। মহামারি ছড়াতে মশার জুড়ি মেলা ভার। প্রতিবছর মশার কামড়ে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। তাই আধুনিক সভ্যতা ও পরবর্তী প্রজন্মকে বাঁচাতে এবার মশার বংশ ধ্বংসের উদ্যোগ নিয়েছে বেইজিং।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট