হানিপ্রীত ইনসান ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতে
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:৫৭
ধর্ষণের দায়ে গুরমিত রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় তাণ্ডবে যোগসাজসের অভিযোগে ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধানের ছায়াসঙ্গী হানিপ্রীত ইনসানকে ৬ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠাল পঞ্চকুলার একটি আদালত।
এর আগে নিজেকে রাম রহিমের দত্তক কন্যা বলে দাবি করা প্রিয়ঙ্কা তানেজা ওরফে হানিপ্রীত ইনসানকে পঞ্জাবের জিকাপুর-পাতিয়ালা রোড থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে ৪ অক্টোবর (বুধবার) কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে কম্যান্ডো-পাহারায় হানিপ্রীতকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে হানিপ্রীতকে ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন জানায় পুলিশ। প্রায় এক-ঘণ্টার শুনানি শেষে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট রোহিত ব্যাস হানিপ্রীতকে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজত দেন।
হানিপ্রীতের সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় সুখদীপ কৌর নামে আরেক নারীকে। এদিন তাকেও ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ২৫ আগস্ট জোড়া ধর্ষণকাণ্ডে রাম রহিমের ২০ বছর কারাদণ্ড ঘোষণার দিন থেকেই ফেরার ছিলেন হানিপ্রীত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আদালত থেকে জেলে যাওয়ার পথে বাবাকে নিয়ে পালানোর ছক কষেছিলেন।
পাশাপাশি, হানিপ্রীতের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার পর সিরসা ও পাঁচকুলায় যে তাণ্ডব ছড়ায় তার নেপথ্যে উস্কানি দিয়েছিলেন এই হানিপ্রীত। ওই হামলায় ৪১ জন মারা গিয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন পাঁচশোর বেশি মানুষ।
কিন্তু, রাম রহিমের জেলযাত্রার পরই গায়েব হয়ে যান হানিপ্রীত। তার খোঁজে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এবং একইসঙ্গে নেপাল-সীমান্তেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু, খোঁজ মেলেনি তার।
তার নাম ৪৩ জন ওয়ান্টেড তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জারি করা হয় লুকআউট নোটিস। পরবর্তীকালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয় তার নামে। অবশেষে ৩৮ দিন পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিন আদালতে শুনানির সময়ে জোড়হাতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন হানিপ্রীত। আদালত কক্ষে যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের অনেকের দাবি, হানিপ্রীতের চোখে জল ছিল।
তার আইনজীবী দাবি করেন, আদালত যখন রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করে, তখন ডেরা প্রধানের সঙ্গেই ছিলেন হানিপ্রীত। তাহলে, কী করে তিনি তাণ্ডবে মদত দিতে পারেন?
এর আগে, ২ অক্টোবর (সোমবার) রাতে হানিপ্রীতকে চণ্ডীমন্দির পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাকে জেরা করে হরিয়ানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় খুব একটা বেশি কিছু জানাননি হানিপ্রীত।