মিয়ানমারের উপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি ইউরোপের
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:৩১
গত ২৫ আগস্ট সেনা ও পুলিশ চৌকিতে বিদ্রোহীদের হামলার পর রাখাইনে অভিযান চালাচ্ছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। এতে নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের হত্যা, ধর্ষণ ও ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান না করলে মিয়ানমারের উপর অবরোধ আরোপের হুমকি দিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উদ্বেগ প্রকাশ এবং মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আহ্বানের পর এই হুমকি এল।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ১৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) গৃহীত এক প্রস্তাবে ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্টসহ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে মিয়ানমারের উপর ক্রমেই চাপ বাড়াতে বলা হয়।
সেই সঙ্গে আসিয়ান জোট এবং চীনসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকেও রোহিঙ্গা সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে উদ্যোগী হতে আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।
লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে ইউরোপের দেশগুলো।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে গৃহীত প্রস্তাবে রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সেনা অভিযানে রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ড, নিপীড়ন এখনই বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দিতেও মিয়ানমারকে আহ্বান জানানো হয়।
রাখাইনে মানবাধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আইন-কানুন লঙ্ঘনের ঘটনায় জাতিসংঘের তদন্তে সহযোগিতা করতে মিয়ানমার সরকারকে আহ্বান জানায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।
বাংলাদেশ সীমান্তে পুঁতে রাখা সব স্থল মাইন সরিয়ে ফেলতেও মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় প্রস্তাবে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে জাতিসংঘের মাধ্যমে উদ্যোগ নিতে ইউরোপীয় কমিশনকে সক্রিয় হতে বলা হয়। তাদের বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক্ষেত্রে শাস্তিমূলক অবরোধ আরোপে তৈরি রয়েছে।
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি-কে সতর্ক করে বলা হয়, মানবাধিকার রক্ষার সংগ্রামের জন্য ১৯৯০ সালে তাকে যে শাখারভ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল, বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যর্থতার জন্য তা কেড়েও নেওয়া হতে পারে।