বখশিশ না দেওয়ায় প্রসূতির পেটে সেলাই করলেন না নার্স!
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:১৬
সরকারি হাসপাতালে বেতনভুক্ত কর্মচারী তারা। তবুও সন্তান হওয়ার পর অনেক সময়ই প্রসূতির পরিবারের কাছ থেকে বখশিশ চান নার্সরা। সন্তান লাভের খুশিতে দিয়েও দেন অনেকে। কিন্তু নার্সকে যদি তার দাবি অনুযায়ী বাড়তি অর্থ না দেওয়া হয় তাহলে পরিণতি যে কী মারাত্বক হতে পারে, তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ভারতের হরিয়ানার সোনপতের বাসিন্দা সঙ্গীতা সিং। প্রসবের পর ৩১ বছরের ওই নারীর পেটে সেলাই করতেই দেননি সোনপত সিভিল হাসপাতালের এক নার্স। কারণ তিনি বখশিশ দেননি। ছাড়া পাওয়ার পর ফের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে সঙ্গীতাকে।
জানা গেছে, দিন কয়েক আগে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে সোনপত সিভিল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। তার অভিযোগ, সন্তান হওয়ার পর বখশিশ চেয়েছিলেন সীমা দেবী নামে হাসপাতালের এক নার্স। তার বাড়ির লোকেরা তা দিতে রাজি হননি। এর জন্য প্রায় দুই ঘণ্টা নবজাতককে মায়ের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন অভিযুক্ত নার্স।
পরে পরিবারের লোকেদের মধ্যস্থতায় সমস্যা সাময়িকভাবে মেটে। যেহেতু তার স্বাভাবিকভাবে প্রসব হয়েছিল, সেজন্য দুই দিন বাদে হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পেয়ে যান সঙ্গীতা। কিন্তু বাড়ির ফেরার পর পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়।
সঙ্গীতার শ্বশুর জানান, ‘প্রথমে আমরা ওকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। ওই চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে বৌমাকে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বলেন পেটে সেলাই করা হয়নি।’
তিনি আরো জানান, ‘এই নিয়ে সোনপত সিভিল হাসপাতালের প্রিন্সিপাল মেডিক্যাল অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সঙ্গীতার বাড়ির লোকেরা।’
এ ঘটনায় অভিযুক্ত নার্স সীমা দেবীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সোনপত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আপাতত তাকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বদলি করে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সোনপত সিভিক হাসপাতালে প্রিন্সিপাল মেডিক্যাল অফিসার সি পি আরোরা জানান, ‘অভিযুক্ত নার্সের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ করেছেন রোগীর পরিবারের লোকেরা। প্রথমত, তিনি প্রসূতি পেটে সেলাই করতে দেননি। দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের পর বখশিস চেয়েছেন। ওই নার্সকে অন্যত্রে বদলি করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। হাসপাতালের বাকি নার্সদেরও সতর্ক করে দিয়েছি।’
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন