গুরমিতের ভক্তরা সতর্কতায় কর্ণপাত না করলে গুলি
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০১৭, ১৪:০৮
নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের সাজা ২৮ আগস্ট (সোমবার) ঘোষণা করবেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত।
এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রায় ঘোষণার পর পর ব্যাপক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে ঝুঁকি নিচ্ছে না হরিয়ানার প্রশাসন। সাজা ঘোষণাকে সামনে রেখে হরিয়ানার পঞ্চকুলা, চন্ডীগড়কে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। দুর্গ বানিয়ে ফেলা হয়েছে রোহাতকেও। ২৮ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে গোটা শহর জুড়ে।
পুলিশ বলেছে, কেউ সহিংসতার চেষ্টা করলে তাকে সতর্ক করা হবে। সতর্কতায় কর্ণপাত না করলে গুলি করা হবে।
সাজা ঘোষণাকে কেন্দ্র করে, বিশেষ করে রোহতকে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শহরে হাজারো পুলিশ ও আধা সামরিক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেনাবাহিনী।
সহিংসতার আশঙ্কায় হরিয়ানার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে।
রাম রহিমকে রোহতক কারাগারে রাখা হয়েছে। কারাগার ঘিরে বহু স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
১৫ বছর আগে দুই শিষ্যকে ধর্ষণের অপরাধে গত ২৫ আগস্ট (শুক্রবার) রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করেন হরিয়ানা রাজ্যের পাঁচকুলায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। দোষী সাব্যস্ত করার পর রাম রহিমকে আদালত থেকে রোহতক কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
রোহতকের পুলিশপ্রধান জানিয়েছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ আদালতের কার্যক্রম কারাগারে হবে। কারাগারের ভেতরে থাকা একটি বিশ্রামাগারে (রেস্টহাউস) আদালত বসবেন।
বিচারক জগদ্বীপ সিংকে আদালতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারকের সব ধরনের নিরাপত্তা বিধান করতে কেন্দ্র থেকে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোহতকের পুলিশপ্রধান জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে রাজ্যকে সহায়তা করছে কেন্দ্র। রোহতকে কোনো যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। রোহতকমুখী সব বাস ও ট্রেন আজ বন্ধ থাকবে।
রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণার দিন ২৫ আগস্ট (শুক্রবার) সহিংসতায় অন্তত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় প্রায় ৩০০ জন।