সেই দুই কিশোরীর দায়িত্ব নিল সরকার
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০১৭, ০১:৪৭
অভাবের তাড়নায় ভারতের মধ্যপ্রদেশে সম্প্রতি দুই কিশোরী মেয়ের কাঁধে জোয়াল তুলে দিয়ে বাবার জমি হালচাষ করার ঘটনার খবর সংবাদমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন ও বিজেপি নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদি সরকার।
প্রথমে বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত সেই দুই কিশোরীর দায়িত্ব নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ রাজ্য প্রশাসন। সেই সঙ্গে কৃষক বাবা সরদার বারেলাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে সরকার।
সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, চাষি সরদার বারেলার দুই মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে সরকার। এছাড়া কৃষক বারেলাকে চাষের সামগ্রী কিনে দেওয়া হবে।
কৃষক সরদার বারেলা ও দুই কন্যার খবর জানতে পেরে কর্নাটকের কৃষিমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার, তাদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায়তার কথা জানান।
মধ্যপ্রদেশের সেহর জেলার ২০ শতাংশ বাসিন্দা দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন। আদিবাসী প্রভাবিত এই এলাকার প্রধান পেশা কৃষিকাজ। গত এক মাসে আর্থিক অনটনের কারণে মধ্যপ্রদেশে ৫১ জন কৃষক আত্মহত্যা করেন। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ছিল সেহর জেলায়।
এর আগে সরদার বারেলা জানিয়েছিলেন, লাঙল চালাতে বলদ কেনার মতো টাকা নেই তার। তাই মেয়েদের দিয়ে লাঙল চালিয়ে হালচাষ করছেন তিনি। তার দুই কন্যা। ১৪ বছরের রাধিকা আর ১১ বছরের কুন্তীকে টাকার অভাবে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছে। এখন তারা বাবার হালচাষে নিয়মিত সহযোগিতা করে।
গত মাসেই মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরে বিক্ষোভ করতে গিয়ে ছয় চাষির মৃত্যুর পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকদের আন্দোলন শুরু হয়। এরপর মধ্যপ্রদেশের সেহর জেলার বসন্তপুর পাঙ্গড়ি এলাকায় নিজের মেয়েদের দিয়ে হালচাষ করানোর ঘটনা কৃষকদের চরম আর্থিক সংকটের চিত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লজ্জায় ফেলে দেয়।
মেয়ে দিয়ে হালচাষের সেই আলোচিত ভিডিও