বন্ধুত্ব ও প্রেমিকের তফাৎ
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০১৮, ১২:৫৯
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘বন্ধুত্ব বলিতে তিনটি পদার্থ বুঝায়। দুই জন ব্যক্তি ও একটি জগত। অর্থাৎ দুই জনে সহযোগী হইয়া জগতের কাজ সম্পন্ন করা। আর, প্রেম, বলিলে দুই জন ব্যক্তি মাত্র বুঝায়, আর জগত নাই। দুই জনেই দুই জনের জগত।’ বন্ধুকে অনেকে প্রেমের সঙ্গে অথবা ভালোবাসার সঙ্গে এক করে ফেলেন। বন্ধুত্ব ও ভালোবাস নিয়ে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘ইহা ছাড়া আর একটা কথা আছে প্রেম মন্দির ও বন্ধুত্ব বাসস্থান। মন্দির হইতে যখন দেবতা চলিয়া যায় তখন সে আর বাসস্থানের কাজে লাগিতে পারে না, কিন্তু বাসস্থানে দেবতা প্রতিষ্ঠা করা যায়।
বেশ খটকার মাঝে আছি, একেবারে চরম খটকা! আহা, বন্ধুত্ব আবার কি, সবই তো প্রেম! বন্ধুত্ব শব্দটার কোনো ভ্যালু (মূল্য) নেই। তুমুল তর্ক-বিতর্ক চলছে, চলবে। আমি তো নাছোড়বান্দা! বন্ধুত্বের মূল্য আমার কাছে সবসময় গুরুত্ববহ, অর্থবহ। সকলে বন্ধু হতে পারে না। বন্ধুত্ব এবং প্রেমিকের মধ্যে বিস্তর তফাৎ, মৌলিক তফাৎ। এই বুঝটা বুঝতে না পারলে বন্ধুত্বের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। তথাকথিত সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, পারিবারিক ব্যবস্থা নারী, পুরুষের সম্পর্কেই প্রেম নামক শব্দ দিয়ে আটকে দেয়। এটা মূলত অন্ধত্ব। বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আমি সবসময় উন্নতশিউরে রাখি। হ্যাঁ, একজন ভালো বন্ধুই পারে, আরেকজন বন্ধুকে বাঁচিয়ে রাখতে, দ্বিগুণ উদ্যমে বাঁচিয়ে রাখতে। আপনি মানেন কি!
বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসা এই দুইটি শব্দের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য। কিন্তু, সমাজের অধিকাংশ মানুষই বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসা না বুঝে একটির সাথে অন্যটি মিলিয়ে লেজগোবুরে বানিয়ে ফেলে। যার রূপ ভয়ংকর, ভয়াবহ! বন্ধুত্ব নির্ভর করে আন্তরিকতার উপর, ঝগড়া, ফ্যাসাদ, রাগ, অভিমান, খুনসুটির উপর। কিন্তু, ভালোবাসা আত্মবিশ্বাসের উপর। ভালোবাসা শব্দটা যুক্ত হলেই একে-অপরের প্রতি সন্দেহ, অবিশ্বাস জন্ম নেয়। সবসময় সন্দেহপ্রবণ দৃষ্টিভঙ্গি, কোথায় যায়, কি করে, কার সাথে মিশে এসব ভালোবাসা শব্দটার সাথে যুক্ত। সুতরাং, ভালোবাসার চেয়ে বন্ধুত্বের জোরটা অনেক বেশি, অনেক মজবুত।
ভালোবাসা মানে এককথায় জীবন সাথী, আর বন্ধু মানে কাছের একজন মানুষ। বন্ধুত্ব শব্দটা পাহাড়সম। যার সাথে সুখ-দুঃখ, মান-অভিমান, রাগ-ক্ষোভ, প্রেম-ভালোবাসা এক কথায় সবকিছু শেয়ার করা যায়। যা ভালোবাসার মানুষটির সাথে করা যায় না। হাজারো প্রশ্ন জাগবে, তাই ভেবে লুকোচুরি করতে হয়। হ্যাঁ, ভালোবাসার মানুষটির সাথে রাগ-অভিমানের কথাও বন্ধুটিকে শেয়ার করা যায়, হালকা হওয়া যায়, বুদ্ধি-পরামর্শ পেয়ে নতুনভাবে ভাবা যায়।
বন্ধুত্ব শব্দের মাঝে মিশে আছে নির্ভরতা আর বিশ্বাস। বন্ধু আর বন্ধন যেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বন্ধুত্ব মানেই হৃদয়ের সবটুকু আবেগ নিংড়ে, ভালোবাসা দিয়ে মন খুলে জমানো কথা বলা যায়, বিশ্বাসের হাতটি বাড়িয়ে দিয়ে বলা যায়- বন্ধু পাশে আছি, ভাবিস না। চোখে চোখ রেখে, হাতে হাত রেখে, বিশ্বাসের হাসি দিয়ে জয় করা যায়– বন্ধুর সকল কষ্ট, সকল ব্যথা। কাঁধের উপর বিশ্বাসের হাতটি রেখে নির্দ্বিধায় বলা যায়, বন্ধু হাল ছেড়ো না, বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে, দেখা হবে তোমার-আমার অন্যদিনের ভোরে। অবাক হচ্ছেন কি! মোটেও না! আমরা যারা, চিন্তার জগতে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ককে সকলকিছুর ঊর্ধ্বে তুলে ধরিÑ তাদের এসব ক্ষেত্রে সংকীর্ণমনা হলে চলে কি!
বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার তফাৎটাকে খোলা চোখে দেখা মুশকিলই বটে! চেতনার চোখ, অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে অনুভব করতে হবে। না হলে, হঠাৎ করে এর তফাৎটা অনুধাবন করা যাবে না। খটকা লাগবে, সন্দেহ জাগবে। কিসের বন্ধুত্ব বলে সন্দেহের তীর ছুড়ে দিবে? বন্ধুত্ব আটপৌরে, ভালোবাসা পোশাকী। অবাক হওয়ার কিছু বলি নি কিন্তু! বন্ধুত্ব সম্পর্কটা এলোমেলো, একেবারে নিজস্ব সম্পর্ক। ভালোবাসার সম্পর্কটা একটু গোছালো, যেন অন্য কাউকে জয় করার জন্য নিজেকে আসবাবপত্রের মতো সাজিয়ে রাখা, সবকিছুতে একটু অন্যভাবে, গোছালোভাবে উপস্থাপন করা। এককথায় কৃত্রিমতার সম্পর্ক। বন্ধুত্বের আটপৌরে কাপড়ের দুই-এক জায়গায় ছেঁড়া থাকলেও চলে, ঈষৎ ময়লা হলেও হানি নাই, হাঁটুর নীচে না পৌঁছিলেও পরতে বারণ নেই। গায়ে দিয়ে আরাম পাইলে হবে। কিন্তু ভালোবাসার পোশাক একটু ছেঁড়া থাকবে না, ময়লা হবে না, পরিপাটি হবে। একেবারে সেরা থেকে সেরাতে উপস্থাপন করা।
বন্ধুত্বের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে জর্জ হার্ভার্ট বলেছেন, ‘একজন বন্ধু হলো সর্বোৎকৃষ্ট আয়না।’ তার মানে, এই আয়নাতে প্রতিমুহূর্তে সে নিজেকে দেখবে। শুধু বাহ্যিক অবয়বকে নয়, ভেতরটাকেও। বন্ধুত্ব হওয়া চাই হাত আর চোখের সম্পর্কের মতো। হাতে ব্যথা লাগলে চোখে জল আসে। আর চোখে যদি জল ঝরে, তবে হাত এগিয়ে যায় তা মুছে দিতে। প্রশ্ন আসতেই পারে, এই পুঁজিবাদী, ভোগবাদী সমাজে এরকম বন্ধু পাওয়া কি সম্ভব? উত্তর: হ্যাঁ। পুঁজিবাদীর মরণছোবল সকল মানুষকে গ্রাস করতে পারি নি। এখনও মানুষ ‘মানুষে’র জন্য ভাবে, কাঁদে। এখনও বন্ধুত্বের হাত অনেক শক্ত, দৃঢ়। তবে, সকল সম্পর্কে যুক্তির জোরটাকে প্রাধান্য দিতে হবে। চৈতন্যের সম্পর্ককে প্রাধান্য দিতে হবে। বন্ধু বহু দিন পর ফিরে এসে যেন, দৃঢ় ভাবে বলতে পারে তোমাকে চেতনার আয়নায় দেখেছি, তোমার উপস্থিত ছিল সর্বক্ষণ, সবসময়।
বন্ধুত্ব সম্পর্কটাকে কোনো স্কেল দিয়ে মাপা যায় না, সম্ভব না দরকারও নেই। কিন্তু বন্ধু নির্ধারণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাটা জরুরি। পুঁজিবাদী, ভোগবাদী সমাজে ভালো বন্ধু খুঁজে বের করা মুশকিল। সেক্ষেত্রে সুন্দর মনোভাবকে প্রাধান্য দিতে হবে। সবাই ভালো বন্ধু হতেও পারে না। বন্ধু যেহেতে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, তাই বন্ধু নির্বাচনে একটু সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। বন্ধুত্বের হাত অনেকেই বাড়াবে। সব হাতকে বন্ধু ভেবে কাছে টেনে নেওয়াটা অযৌক্তিক। ভুল মানুষকে বন্ধু নির্বাচন করলে এর হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বন্ধু নির্বাচনের আগে কয়েকটি ভালো দিক তার মধ্যে খুঁজে নিতে হবে, নেওয়া উচিতও বটে। সৎ, সত্যবাদী, চিন্তাশীল, মননশীল মানুষকে জীবনের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিতে হবে। যে, ভুলটাই আমরা করি। না বুঝে, না জেনে মানুষকে কাছে টেনে নেই। যার কারণে বন্ধুত্বের সংজ্ঞা পাল্টে যায়, ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়।
আমাদের সমাজের তথাকথিত মানুষের মনোভাব এরকম যে, ছেলে এবং মেয়ের একসঙ্গে মেলামেশা করা ঠিক নয়। ছোটবেলা থেকেই ছেলে এবং মেয়েকে আলাদা করা, বিভিন্নভাবে, আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেওয়াÑ তোমরা আলাদা, তোমাদের আলাদা থাকাটাই তোমাদের কাজ। একটু বড় হলেই, আলাদা স্কুল বা কলেজে পড়াশুনার ব্যবস্থা করা। সমাজের নিয়ম অনুসারে ছেলে এবং মেয়ে একে অপরের জন্য নিষিদ্ধ। এসব বাধাবিঘ তার কারণে ছেলে ও মেয়ে একে অপরের সঙ্গে সহজভাবে, সরলভাবে মিশতে পারে না। যার কারণে অনেক জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়।
এখনও এমন মনোভাব পোষণ করে, ছেলেবন্ধু থাকার কারণে সম্পর্ক ভেঙ্গে দিয়েছে তার প্রেমিক। একটি মেয়ের একাধিক ছেলে বন্ধু থাকলেই যেন সবকিছু রসাতলে গেল। এক্ষেত্রে ছেলের অনেক বান্ধবী থাকলেও তেমন সমস্যা পোহাতে হয় না। এটা মূলত, পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার জঘণ্য দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ। একজন প্রেমিকের বাহিরেও নারীটির বন্ধু থাকতেই পারে, ঠিক পুরুষটিরও পারে। এতে অস্বাভাবিকতার কিছু নেই, ভুলের কিছু নেই।
প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক, বন্ধুত্ব শুধু ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে হতে হবে কেন! হ্যাঁ, শুধু ছেলে এবং মেয়েরই বন্ধুত্ব হয় না। মা, বাবা, ভাই, বোন, সহপাঠী, সহকর্মী সকলের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। বন্ধুত্বের কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম-কানুন, আইন-কানুন নেই। একটা পরিবারের মা, বাবার সাথে ভালো বন্ধুত্ব ছেলে-মেয়েকে অনেক উন্নত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। পরিবারের সকল মানুষের সাথে যদি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে তবে সে সম্পর্কগুলো আর সকল সম্পর্ক থেকে উন্নত। ছেলে মানেই খারাপÑ এমন মানসিকতা পরিবার থেকেই গড়ে তোলা হয়। ছেলে-মেয়ে কখনওই ভালো বন্ধু হতে পারে না, এমন ধারণাও শেকড় গেড়ে বসেছে যুগ-যুগান্তর থেকে। এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। শুধু দরকার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। সবকিছুতে জৈবিকতা টেনে আনা চৈতন্যের দুর্বলতা। এ দুর্বলতা থেকে মানুষের বের হয়ে আসতে হবে, সহজ, সুন্দর ভাবে ভাবতে শিখতে হবে, শিখাতে হবে।
আজকাল যে বিষয়টার কারণে বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফাটল ধরে। বন্ধুটিও আপনাকে ভালোবাসে, বন্ধু ভাবে। কিন্তু সেটা তার মতো করেই। আপনিও জানেন আর সেও জানে যে, একসাথে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে পারলে খুবই ভালো হতো, দুজনের খুবই মিল, ঐক্য। সত্যিই, অসাধারণভাবে মিলে গিয়েছে দুজনের। কিন্তু আমরা যে শুধুই বন্ধু। আমরা তো প্রেমিক-প্রেমিকা নয়। আমাদের যে এর চেয়ে বেশি কিছু ভাবা উচিত নয়। আমাদের তো লাইলী-মজনুর মতো দিওয়ানা হলে চলবে না। তাহলে যে, বন্ধুত্বের ফাটল ধরবে। বিপত্তিটা বুঝতে পেরে মানসিকভাবে কখনই এ সর্ম্পকটাকে বৈবাহিক সম্পর্কে রূপান্তরিত করতে চাচ্ছেন না। আবার দু’জনের বন্ধুত্বটা এতটাই প্রবল যে, এই বন্ধন থেকে বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব না, আবার ঘরবাঁধাও সম্ভব না। আসলে, এই বন্ধুত্ব থেকে ঘর বাঁধা যেমন সম্ভব না তেমনি বন্ধুত্বতার এই ঘরখানি ভেঙ্গে ফেলাও সম্ভব না। আর হ্যাঁ, এটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
বন্ধুত্ব বয়স, শ্রেণি, ধর্ম কোনো কিছু মানে না। কোনো তফাৎ রেখে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা সম্ভব না। জীবনে প্রথম বন্ধু গড়ে ওঠার স্মৃতি থাকে অমলিন। যে স্মৃতিকে বহন করে একজন বন্ধু আজীবন বেঁচে থাকার প্রেরণা খুঁজে পায়। সময়ের প্রয়োজনে কোনো বন্ধু দূরে সরে যেতে পারে, দূরত্ব বজায় রাখতে পারে কিন্তু মনের দূরত্ব কখনই তৈরি হয় না, সম্ভব না। বন্ধুর সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তই অমূল্য। স্কুল শুরুর দিনে যে ছেলেটি বা মেয়েটি পাশে বসেছিল তাকে কি ভোলা সম্ভব? নাহ্, সম্ভব না। সময়ের প্রয়োজনে, বাস্তবতার প্রয়োজনে দূরে থাকতে হয়। কিন্তু ভেতরটা যে কাঁদে! ছন্দহীন জীবনে ছন্দ, নিরানন্দ জীবনে আনন্দের জোয়ার বইয়ে দিতে বন্ধুর বিকল্প নেই।
বন্ধুত্বের উত্থান-পতন আছে। বন্ধুত্ব ক্রমশ পরিবর্তিত হয়ে ভালোবাসায় উপনীত হতে পারে, কিন্তু ভালোবাসা নেমে অবশেষে বন্ধুত্বে এসে ঠেকতে পারে না। হিংসা, ঘৃণা, প্রতিশোধপরায়ণ হয় ভালোবাসার সম্পর্ক। বন্ধুত্বের সম্পর্কটা ক্ষণিকের জন্য থেমে গেলেও টানটা অনুভব করে। একবার যাকে ভালোবেসেছি, হয় তাহাকে ভালোবাসবো না; কিন্তু একবার যার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছে, ক্রমে তার সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপিত হতে পারে। অর্থাৎ, বন্ধুত্বের উঠবার, নামবার স্থান আছে। কারণ, সে সমস্ত স্থান আটক করে থাকে না। কিন্তু ভালোবাসার উন্নতি, অবনতির স্থান নেই। যখন সে থাকে তখন সে সমস্থ স্থান জুড়ে থাকে। যখন থাকে না একেবারেই থাকে না।
মূল কথা, মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কটা হোক চিন্তা-চেতনার-আদর্শের। বন্ধুত্বের সম্মান বন্ধুত্ব দিয়েই করা হোক। সেখানে কোনো শর্তারোপ করে সম্পর্কটাকে হেয় করার প্রয়োজনীয়তা নেই। বন্ধুত্বকে ‘বন্ধুত্বে’র জায়গায় রেখে বাঁচিয়ে রাখুন আজীবন। চিন্তা-চেতনায়-আদর্শে বন্ধুত্বটিকে বাঁচিয়ে রাখুন। লড়াইয়ে-মিছিলে-শ্লোগানে বন্ধুত্বের হাতটি প্রসারিত হোক, দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হোক এই বন্ধন।
জয় হোক বন্ধুত্বের, জয় হোক মানবতার।
লেখক: লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট