বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক: এক নবসূর্যের অপেক্ষায় আমরা
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০১৮, ২২:৩২
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফর নিঃসন্দেহে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের দৃশ্যমান সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরো সুউচ্চ স্থানে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে এই সফর এক অনন্য ভূমিকা রাখবে। যেকোন দু’দেশের মৈত্রী স্থাপনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে দেশগুলোর পারস্পরিক সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন।
ভারত-বাংলাদেশ এর মধ্যকার সাংস্কৃতিক মিলনটা বহু পুরোনো এবং জন্মাবধি তারা নাড়ির টানে যুক্ত। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহমান ভাষা ও সংস্কৃতির নাড়ির টানকে ব্যবহার করেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো গভীরে প্রোথিত হতে পারে। তবে বিভিন্ন কারণে যতোটুকু হবার কথা ছিলো ততোটুকু হয়তো হয়নি তবে একেবারে যে স্বল্প তাও বলা যায় না।
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এবারের শান্তিনিকেতন বা আসানসোল সফর এক পারস্পরিক মৈত্রী মঞ্চ হয়ে পরবর্তী সময়ের জন্য এক নতুন দিগন্তের সুচনা করে কী-না তা হয়তো সময়েই বলে দেবে। তবে এই সফর যে দুই দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক বাধাগুলো কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেছে তা তাদের আলোচনার মাধ্যমেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
ভাষা ও সংস্কৃতির দিক থেকে এই দুই দেশ কতোটুকু কাছাকাছি তা বোধ করি বাংলাদেশের জাতীয় কবি ও জাতীয় সংগীতের দিকে তাকালেই অনুধাবন করা যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনে তারই জন্মভিটা এবং নামাংকিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের মঞ্চে নিজের স্মৃতি, নিজেদের স্মৃতি সর্বোপরি দেশের স্মৃতি হাতড়ে বেড়িয়েছেন।
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্পর্কের কথাও বারবার মনে করিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের স্লোগান ‘জয় বাংলা’ যে প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা থেকে নেয়া সে কথাও স্মরণ করিয়ে দেন সমাবর্তনের মঞ্চ থেকে। সেই সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এও আশ্বাস দেন যে, তার নিজের দেশের মতো এ দেশের নজরুল গবেষক, সংগঠকদেরও সাধ্যমতো সাহায্য করবেন।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ১৯৯৯ সালে যে দেশিকোত্তম সম্মান তাকে দিয়েছিলেন তা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী নজরুলের নামে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান। মূলত দুই দেশের যৌথ আগ্রহেই সেখানে নজরুল গবেষণা কেন্দ্রটি চলছে এবং এই কেন্দ্রের উন্নয়নে একসাথেই দীর্ঘদিন কাজ করছে দুই দেশের সরকার। কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মদিনেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানসূচক ডি-লিট প্রদান করে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরো উঁচুতে নিয়ে গিয়েছে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ২৫ মে (শুক্রবার) বিশ্বভারতীর শান্তিনিকেতন যেনো ছিলো ভারত-বাংলাদেশ এর মিলনমেলা, বাঙালি মিলনমেলা বললেও খুব একটা বাড়াবাড়ি হবেনা। আর সেকারণেই তো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তব্যের শুরুতেই বাংলা ভাষাতে পুরো মিলনমেলাকে স্বাগত জানান। শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্ভোধন ছিলো দু’দেশের দীর্ঘ সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ পথ চলার প্রতীক। শুধু উদ্ভোধনেই আটকে থাকেনি এবারের সফর বরং মোদী-হাসিনা বৈঠকে উঠে এসেছে দুই দেশের দীর্ঘ পথযাত্রার হিসেব নিকেশও!
একদিকে শেখ হাসিনা সরকারের উত্তর-পূর্বের জঙ্গিদের দেশছাড়া করা, ট্রানজিট দেয়া, আন্তর্জাতিক মঞ্চে বরাবর দিল্লির পাশে থাকা। অপরদিকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দিল্লী ঢাকার বাইরে না যাওয়া, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য পরিকাঠামো খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ সহায়তা, বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়া এবং সবশেষে মহাকাশ প্রযুক্তিতেও সাহায্য করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোন জঙ্গিবাদী সরকার যেনো ফের ক্ষমতায় না আসতে পারে সে ব্যাপারে উভয় দেশ সচেতন এবং বাংলাদেশ অশান্ত হলে ভারতে যে এর প্রভাব পরবে তার প্রমাণ এর আগেও দিল্লী পেয়েছে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোটের শাসনামলে।
তিস্তা চুক্তি দুই দেশের প্রধান আলোচ্য বিষয়, এ নিয়ে জল বহুদূর গড়িয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে আন্তরিক থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কারণে আটকে আছে তিস্তা তা কম বেশি সবারই জানা। এ বারের সফরে যদিও শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের উপর গুরুত্বারুপ করা হয়েছে কিন্তু তিস্তা একেবারেই আসবে না তা কী সম্ভব! এসেছে সেটা হাসিচ্ছলেই হোক বা সমাবর্তনের মঞ্চ থেকেই হোক! এই যেমন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যেই বলে দিয়েছেন অনেক অর্জনের মধ্যে কিছু বকেয়াও রয়েছে, যা উল্লেখ করে এমন সুন্দর অনুষ্ঠানের অঙ্গহানি করতে চাই না আমি!’’ এই বক্তব্য কিসের ইঙ্গিত বহন করে তা পুরো সম্মেলনস্থলের সকলেই বুঝতে পেরেছিলো!
শুধু তাই নয়, ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনায়ও এই তিস্তা নিয়ে খুনসুটি করতে ভুলেননি শেখ হাসিনা। মূলত খুব আন্তরিকতার সাথেই এবারের আলোচনায় তিস্তা এসেছে পরোক্ষভাবে। তিস্তা নিয়ে উভয় দেশের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সাংবিধানিক ক্ষমতা কিছু কিছু ক্ষেত্রে এতোই প্রকট যে প্রাদেশিক সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে তাদের ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছু দ্রুততার সাথে করা সম্ভব হয়ে উঠে না।
এবারের সফরে কলকাতা ত্যাগ করার পূর্ব মুহুর্তে প্রায় এক ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে একান্ত আলোচনা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। অত্যন্ত সৌজন্যমূলক, বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনায় শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার কথা বললেও মূল আলোচনার বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়, এবং এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, তিস্তা সেই আলোচনার প্রাণকেন্দ্র ছিলো। কেননা এর আগে স্থলচুক্তি নিয়ে সব পক্ষ সহমত হওয়ার পরেও ঠিক হয়েছিল, বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কোনও কথা বলবেন না। আর এবারেও ঠিক তেমনি ঘটনা ঘটেছে। মমতা ব্যানার্জি হয়তো দু এক বাক্য বলেছেন কিন্তু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠকের ব্যাপারে কোন কথাই উচ্চারণ করেননি।
এটা সত্য যে, বাংলাদেশ ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিস্তা ছাড়াও অসংখ্য অমীমাংসিত বিষয় ছিলো যা মীমাংসিত হয়েছে। কিছু বিষয়ে এখনো দু’দেশের মধ্যে বোঝাপড়া ঠিকমতো হয়ে উঠছে না। তবে উভয় দেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে প্রাধান্য দিয়েই সেই সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে চাইছে। ভারত-বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে, সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কই পারে সকল সমস্যা সমাধান করতে। এই বিশ্বাস থেকেই ছিটমহল সমস্যা, সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ, অর্থনৈতিক ট্রানজিট বিরোধ, বন্দী বিনিময় চুক্তির কার্যকারিতা, সীমান্ত হত্যাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়েছে।
মূলত ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক এক নতুন মাত্রায় উন্নীত হয় ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর। এর আগে ভারত-বাংলাদেশ বন্দী বিনিময় চুক্তির কার্যকারিতা প্রত্যক্ষভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছিলো না , অবশেষে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভারত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের কারাগারে থাকা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম) শীর্ষ নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে প্রত্যর্পণ করা হয়।
অর্থনৈতিক ট্রানজিট নিয়েও দু’দেশের মধ্যে শীতল একটা সম্পর্ক চলছিলো, অবশেষে ট্রানজিট দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুনভাবে মোড় নেয়। শুধু আর্থিকভাবে নয়, দীর্ঘ মেয়াদেও লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে এই ট্রানজিটের মাধ্যমে। তবে উভয় দেশকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে যেনো সন্ত্রাসীদের চারণভূমি না হয়ে উঠে এই ট্রানজিট করিডোর।
দু’দেশের সম্পর্কের মাঝে বিষফোঁড়া হলো সীমান্ত হত্যা। সীমান্ত হত্যা নিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক প্রায়ই উত্তপ্ত হয়ে উঠে। তবে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, সীমান্ত হত্যা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই আছে। যেমন, আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তকে বলা হয় মৃত্যুফাঁদ কারণ পৃথিবীর সবচাইতে বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটে এই সীমান্তে। অতীতে যেখানে সীমান্ত হত্যা ছিলো প্রতি বছরে প্রায় ১০০ এর উপরে বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৩০ এর নীচে। যাই হউক, কোন হত্যাকান্ডই কাম্য নয় এবং এই সীমান্ত হত্যা বন্ধে দু’দেশকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানাই। উল্লেখ্য যে,পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে এই সীমান্ত হত্যা অনেক কম তবে শূন্যের কোটায় এই সীমান্ত হত্যা নিয়ে আসতে হবে।
২০১৪ সালের ৮ জুলাই নেদারল্যাণ্ডের আদালতের রায়ে বঙ্গোপসাগরের বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা বাংলাদেশ পেয়েছে। বাকি ছয় হাজার ১৩৫ বর্গকিলোমিটার পেয়েছে ভারত। এই রায়ে উভয় রাষ্ট্রই খুশি এবং দু’দেশই একে বিজয় হিসেবে দেখছে। এই বিজয় বন্ধুত্বের বিজয়, এই বিজয় বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের বিজয়। কেননা, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যা, যা উভয় রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল, তা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি হলো।
ছিটমহল সমস্যার সমাধান আসে ২০১৫ সালে। ২০১৫ সালের ০১ আগস্ট রাত ১২:০১ মিনিটে দুই দেশ ঐতিহাসিক মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির আওতায় একে অন্যের অভ্যন্তরে থাকা নিজেদের ছিটমহলগুলো পরস্পরের সাথে বিনিময় করে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি ছিটমহল ভারতের ভেতরে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল, ছিটমহল বিনিময়ের ফলে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল (৭১১০ একর জমি) ভারতের অংশ হয়েছে। আর ভারতের ১১১টি ছিটমহল (১৭,১৬০ একর জমি) বাংলাদেশের অংশ হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারত নিজেদের সাবলীল সম্পর্ক ধরে রেখেই সমস্যার মূলোৎপাটন করেছে।
মনে রাখতে হবে, যেকোন দেশের সাথে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে বন্ধুত্বপূর্ণ দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করতে হবে। যেহেতু ভারত পার্শ্ববর্তী দেশ তাই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক শুধু দু’দেশের সরকারের মধ্যকার সম্পর্ক হয়ে এক গন্ডির মধ্যে থাকলে হবেনা। বরং বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের বিশেষ করে যুব সমাজের মধ্যে একটা একীভূত শক্তি হয়ে চলার মানসিকতা বৃদ্ধি করতে হবে।
দু’দেশের জনগণের আকাঙ্খা পূরণে একসঙ্গে এগিয়ে চলার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে হলে সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি নাগরিক সমাজের উদ্যোগ একান্ত প্রয়োজন। শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে এবারের সফর নিঃসন্দেহে এক অনন্য পদক্ষেপ। আমাদের প্রত্যাশা ‘বাংলাদেশ ভবন’ দুই দেশের শিল্পকলা, ভাষা, ইতিহাস ও শিক্ষা বিষয়ক অধ্যয়ন ও গবেষণা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে কেন্দ্রে পরিণত হবে এবং সকল সমস্যা কাটিয়ে খুব দ্রুতই তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এক নতুন যুগের সূচনা হবে। নবসূর্যের অপেক্ষায় আমরা।
লেখক: তরুণ রাজনীতিক ও সমাজকর্মী