অসাম্প্রদায়িকতার বাণীতে শেষ হলো অষ্টমীর কুমারী পূজা
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:২১
ঢাক-ঢোল আর কাঁসরঘন্টার সাথে ভক্তপ্রাণ মায়েদের উলুধ্বনি, এই যেন শারদীয় দুর্গোৎসবের চিরশাশ্বত রূপ। পাঁচদিন ব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে মহা অষ্টমীর দিনে কুমারী পূজা। কুমারী কন্যাকে মাতৃরূপে আরাধনা করে তার মাধ্যমে দুর্গামায়ের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এ কুমারীপূজায়। এবারে রাজধানীর গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী দেবী সাজেন প্রশংসা প্রিয়তা বন্দোপাধ্যায়।
কুমারী মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে সকাল থেকেই রামকৃষ্ণ মিশনসহ এর আশপাশের এলাকায় আসতে শুরু করেন ভক্তবৃন্দ। এসময় রামকৃষ্ণ মিশনের বড় চত্বর পেরিয়ে রাস্তাতেও ভক্তদের ভিড় চোখে পড়ে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাল বেনারসি শাড়ি পরে মণ্ডপে আসেন 'কুমারী মা' প্রিয়তা৷ এসময় ভক্তদের জয়ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠে রামকৃষ্ণ মিশন প্রাঙ্গন। শাস্ত্র মতে, এদিন কুমারী প্রিয়তার নামকরণ করা হয় 'সুভগা'।
অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বায়ু- এ পাঁচ উপকরণে অনুষ্ঠিত হয় 'কুমারী' মায়ের পূজা। সকাল ১০টার কিছু পরে শেষ হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পুষ্পাঞ্জলি গ্রহণ শেষে কুমারী মা প্রিয়তার কণ্ঠে শোনা যায় অসাম্প্রদায়িকতার সুর। "হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান- সবার মধ্যে একই রক্ত। একই প্রাণ। আসো আমরা সবাই মিলেমিশে থাকি। তোমাদের জন্য এই আমার আশীর্বাদ"- বলেন প্রিয়তা।
এবারের কুমারী মা প্রশংসা প্রিয়তা বন্দোপাধ্যায় চাইল্ড হ্যাভেন আইডিয়াল হাই স্কুলের প্লে গ্রুপের ছাত্রী। বাবা প্রিয় শংকর বন্দোপাধ্যায় কে এল জুবলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং মা গায়ত্রী বন্দোপাধ্যায় ফজলুল হক মহিলা কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।