সূর্যবাদ
প্রণতোহস্মি দিবাকরম্
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০১৭, ১৮:৪৫
লৌকিক ধর্ম তথা লোককৃতির অন্যতম প্রধান অবদান দেবতা। এই দেবতার সৃষ্টি সাধিত হয়েছে দ্বিবিধ বুনিয়াদে, দ্বিবিধ পন্থায়। এই প্রথম কর্মটি, অনুক্রমের প্রথমিকতার দাবীতেই, বয়ঃক্রমে প্রবীণতর। বিস্তারিত ব্যাখ্যা পরে দেয়-আপাততঃ উল্লেখ্য, তার কাল আদি কৃষিযুগের সেই পর্যায়, যখন মানুষ তার খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ার ওপর প্রাকৃতিক কিছু বস্তু বা ঘটনার প্রভাব লক্ষ্য করে। অবশ্যি, কার্য-কারনের কোনো সম্পর্কগত ব্যাখ্যা না জেনে। দ্বিতীয় পন্থায় দেবদেবীর জন্ম হয় মানুষের হাতে বাস্তব ঘটনা বা ইতিহাসের অতিরঞ্জনের মাধ্যমে পুরাণ (mythology) সৃষ্টির ফলে, সংশ্লিষ্ট ঘটনা বা ইতিহাসের নায়কও যাতে ফোলানো-ফঁপানো। সিসিলির দার্শনিক ইউহিমেরাসের (Euhemerus-খৃষ্টপূর্ব চতুর্থ শতক) ভাষায়, ‘magnified man’। এভাবে দেবদেবীর সৃষ্টি বস্তুতঃ বীরপূজোর এক বিশেষ ধরন।
এখানে আমার প্রথমে বিবেচ্য বিষয় আদি কৃষিযুগের খাদ্য উৎপাদকের হাতে দেবতার সৃষ্টি। মানুষ যখন তার প্রাণধারণের জন্যে খাদ্যের উৎপাদন নয়, কেবল আহরণের ওপর নির্ভর করেছে, তখনই তার ধারনা ছিলো, তার পরিবেশের সকল কিছুরই আত্মা আছে, যেমন গাছগাছালির, পাহাড়-পর্বতের, তেমনি পশুপাখীর। এরপর কৃষিকর্মে ব্রতী মানুষ দেখে, তার এ-কর্মের সাফল্য বিফলতা বিশেষভাবে নির্ভরশীল আত্মাধারী কয়েকটি বস্তুর ওপর। তাদের একটি হল সূর্য। যার তাপ ফসল উৎপাদনে সহায়ক,--এমনকি, অপরিহার্য। সেকালের মানুষ আরো ধরে নিয়েছে, আত্মা আসলে বিশেষ এক শক্তির দান, যার নাম দেবতা এবং সেই দেবতা কোন না কোন আকারে দেহ ধারণ করে বিরাজমান থাকেন। সাকারে বা নিরাকারে পূজোর মাধ্যমে তাঁর তুষ্টিবিধান তাই কৃষিকর্মে সাফল্য লাভের জন্যে জরুরী। এবং সাকারে পূজোর মূলে দেবতার যে কল্পিত রূপ থাকে, তারই বাস্তব অনুবাদ তাঁর মূর্তি বা প্রতিমা।
সে যা-ই হোক, কৃষিজীবি মানুষের কাছে অতি প্রভাবশালী সূর্য প্রথমে এমনি করেই পরম পূজ্য সূর্যদেব রূপে প্রতিষ্ঠা পান, তাঁর উদ্দেশ্যে নিবেদিত হতে থাকে ভক্তের উচ্চারণঃ প্রণতোহস্মি দিবাকরম্।
বিভিন্ন স্থানে সূর্যদেবতার আবির্ভাব
বলা নিস্প্রয়োজন, এটি যদিও কৃষিজিবী মানবসমাজের একটি বিশেষ ধারণা তথা পরিস্থিতির ফল, বিশেষ কোনো স্থানের বা কালের কৃতি নয়,--বিশেষ কোনো মানবগোষ্ঠী বা গোত্রেরও। বরং স্বীকার করা বাঞ্ছনীয়, বাস্তবে অনুকুল পরিস্থিতিতে এমন ঘটনা, এমনিভাবে সূর্যের দেবতা রূপে প্রতিষ্ঠা লাভ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কালে এবং বিভিন্ন গোত্রে বা গোষ্ঠীতে ঘটা সর্বতোভাবেই সম্ভব। এবং ঘটেছেও তেমনিভাবেই। প্রমাণঃ আজও এমন সব সম্প্রদায়, জনগোষ্ঠী বা উপজাতীর মধ্যে সূর্যপূজোর প্রচলন দেখা যায়, যেগুলির ভিতর কোনো কালেই ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য বা সামাজিক ঐক্যের বন্ধন ছিলো বলে ধরে নেয়া সম্ভব নয়। এছাড়া, সূর্যদেব এক-এক দেশে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে একই অঞ্চলে এক-এক কালে পূজিত হয়েছেন এক-এক নামে, এক-এক পদ্ধতিতে। তৃতীয়তঃ কোনো কোনো দেশে সূর্যদেবতার সংখ্যা একাধিক।
জীবন-জীবিকার নিয়ন্ত্রক
মানবসমাজে সূর্যের প্রভাব বিস্তারের কারণের প্রতি কোনো কোনো পন্ডিতের এক পরোক্ষ, ব্যতিক্রমী দুর্বলতা লক্ষণীয়। এতে সূর্য ঠিক সরাসরি দেবতা রূপে প্রতিষ্ঠিত নন। কিন্তু কৃষিকর্ম আর জীবন-মৃত্যুর প্রবল নিয়ন্ত্রকরূপে স্বীকৃত। যার প্রমাণ মিলে প্রাচীন কালের ঋতুভিত্তিক--- বিশেষতঃ ক্রান্তিকালীন উৎসবগুলিতে। এসব উৎসব অনুষ্ঠিত হত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আকারে, সাধারনতঃ শীতের শেষে ফসল বোনাবুনির আয়োজনকালে এবং শরতে অথবা শীতের শুরুতে ফসল তোলার সময়। নভেম্বরে পালিত এমনি এক অনুষ্ঠান সম্পর্কিত ছিলো মৃতজনের সাথে। এর বর্ণনা দিতে গিয়ে Oxford Junior Encyclopedia-তে বলা হয়েছে---
When the days were shortening as autumn passed into winter, and men’s minds were turned towards death and decay, the departed were thought to return to their old homes and haunts and assembled round the fireside. Bonfires were lighted to renew the energy of the sun, lest it should burn itself out and leave the world without its light and warmth.
এ-তত্ত্ব মূলতঃ জীবনের অনিত্যতা আর পুর্নজন্মবাদের। কিন্তু এখানে আলো এবং তাপের উৎস হিসেবে সূর্যের যে উপস্থাপন, আদি কৃষিজীবি সমাজেও তার অনুরূপ কৃতি দেখা গেছে। সূর্যের প্রভাবে নিয়ন্ত্রিত হত খাদ্য আহরণকারী মানুষের জীবনও। কিন্তু এই প্রভাব তখন সরাসরি অভিজ্ঞতায় সনাক্তকৃত নয়,-সনাক্তকরণের অভিজ্ঞাতার সূচনা কৃষিজীবী সমাজে। সুতরাং একথা বললে অন্যায় হবে না যে, জীবন-মৃত্যুর সাথে গ্রতিত সূর্যভাবনাও কার্যতঃ আদি কৃষিজীবী সমাজেরই দান।
অবশ্যি, জীবন-জীবিকার সম্পর্ক দিয়ে দেবতা রূপে সূর্যের আবির্ভাব ব্যাখ্যা করা সবসময় সম্ভব নয়। বিশেষ করে, যখন দেখি, কৃষকের ফসল উৎপাদনে বা মানুষের জীবন রক্ষায় কোনো কোনো সূর্যদেবতা আগ্রহী নন। এমনি এক সূর্যদেবতা গ্রীস আর রোমের এ্যাপোলো। যিনি পূজো পেতেন প্রধানতঃ কাব্য, সঙ্গীত, চিকিৎসাশাস্ত্র, ধনুর্বিদ্যা আর কূটনীতির দেবতা হিসেবে। কৃষির দেবতা তখন ওসব দেশে পূজিত ছিলেন শনি। প্রসঙ্গতঃ আরো উল্লেখ্য, এ্যাপোলো গ্রীক পুরাণের একমাত্র সূর্যদেবতা নন। সেখানে তাঁর এক প্রবলপ্রতাপ দোসর বা প্রতিদ্বন্দ্বী হেলিয়োস। এবং এ্যাপোলো হেলিয়োসের রথের সারথী। সূর্যপূজোর ইংরেজী প্রতিশব্দটিও (heliolatry) এসেছে ওই হেলিয়োসেরই নাম থেকে।
সূর্যদেবতার প্রথম দেশ
দেবতা রূপে সূর্যের প্রতিষ্ঠা লাভের প্রসঙ্গে আরো দুই-একটি কথা বিশেষভাবে স্মরণীয়।
একটু আগেই বলেছি, সূর্যদেবতার জন্ম এবং প্রতিষ্ঠা লাভ প্রথমে আদি কৃষিজীবী সমাজে। কৃষিজীবী সমাজ প্রথম দেখা যায় আজ থেকে প্রায় দশ হাজার বছর আগে। এর অর্থ, সূর্যদেবতার-বস্তুতঃ, কোনো দেবতারই-বয়েস নয় হাজার বছরের বেশি নয়। অন্য দিকে, নৃবিজ্ঞানীদের মতে, কৃষির সূচনা এবং প্রথম বিকাশ ঘটে প্রাচীন মিশরে। এই মতের অনুসৃতিতে বলতে হয়, দেবতা রূপে সূর্যের আবির্ভার এবং প্রথম প্রতিষ্ঠা লাভও ওই দেশে। কিন্তু তাই বলে এমন কথা নিশ্চতরূপে ধরে নেয়া কোনো ক্রমেই সম্ভব নয় যে, প্রাচীন মিশর থেকেই সূর্যপূজো পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ইঙ্গিত আগেই দিয়েছি, কৃষিকর্ম সম্ভব এক বিশেষ অনুকূল পরিবেশে। এর সুযোগ এক-এক এলাকার মানুষ নেয় এক-এক সময়ে, প্রায় সর্বত্রই অন্যনিরপেক্ষভাবে। ঠিক এমনি কথাই প্রযোজ্য সূর্যপূজোর প্রসঙ্গেও। সমাজ বিকাশের কোনো কোনো স্তরে গোত্র বা কওমের ধর্মবিশ্বাস অন্য গোত্র বা কওমে সংক্রমিত হয়েছে অবশ্যই। কিন্তু সমগ্র মানবসামজের ধর্মবিশ্বাসের ইতিহাসে তা বস্তুতঃ ব্যতিক্রম।
আসলে তো পৃথিবীর অধিকাংশ এলাকা তথা মানবগোষ্ঠী আপন আপন সূর্যদেবতা সৃষ্টি করেছে স্বাধীনভাবে, আপন আপন অভিজ্ঞতাজাত ধারণার বুনিয়াদে। যার এক প্রমাণ বিভিন্ন দেশ তথা মানবগোষ্ঠীতে সৃষ্ট সূর্যদেবতার গুরুত্ব, রূপ, বাহন ইত্যাদির বিভিন্নতা। মিশরে সূর্য একদা ছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান দেবাতা, অন্যান্য দেশে অন্যতম প্রধান বা গৌণ দেবতা। নীল নদের অববাহিকায় তিনি হন দেহাংশে মানুষ, কিন্তু মাথায় বাজপাখী। গ্রীস-রোমের এ্যাপোলো তিলোত্তম পুরুষ। নিম্ন মিশরের হেলিয়োপলিসের হেলিয়োস আকাশ পরিক্রমা করতেন চার ঘোড়ার রথে, ভারতের সূর্যদেব সাত ঘোড়ার রথ নিয়ে, মিশরের রা সোনার নৌকোয়।
মানুষ ও সূর্যদেবতা
এখানে একটি সতর্কবাণী। ওপরে আমি একাধিকবার বলেছি, দেবতাদের জন্ম প্রাচীন কৃষিজীবী সমাজের আত্মা সম্পর্কিত কল্পনায়। সমাজবিজ্ঞানীদের কাছে একথার সত্যতা অবশ্যই তর্কাতীত। কিন্তু তাঁরা আবার দেবতার জন্মের অন্যতর কারণও নির্দেশ করে দেন,-যার ইঙ্গিত আমি বর্তমান আলোচনার শুরুতেই দিয়েছি, ইউহিমেরাসের মতবাদের উল্লেখের কেবল প্রাচীন কৃষিজীবী সমাজের নয়।
এখন, দেবতার জন্মের উপরি-উক্ত দুই কারণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের মনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগেঃ সূর্যদেবতার জন্ম কি শুধু প্রথম কারণে?
এ-প্রশ্নের উত্তর এক কথায় দিতে হলে বলবো, দু’কারণেই। প্রচীন আজটেক সমাজে সূর্য ফসলের তথা কৃষিকর্মের অন্যতম দেবতারূপে পূজিত হয়েছেন। এক্ষেত্রে সূর্যদেবতার আবির্ভাব আদি কৃষিজীবী আজটেকদের কল্পনা সংঘটিত বলে ধরে নিতে কোনো বাধা দেখিনে। কিন্তু কোনো সূর্যদেব যখন মানবসূলভ গুণাবলীতে অন্বিত হন-কিংবা মানুষের মতো সংসারধর্ম পালনে উৎসাহী অথবা বীরসুলভ কোনো কীর্তির জন্যে স্মরণীয় বা প্রতিষ্ঠিত, -তখন তাঁর ক্ষেত্রে ইউহিমেরাসের তত্ত্ব প্রয়োগ ছাড়া আমাদের গত্যন্তর থাকে না। গ্রীসের সূর্যদেব এ্যাপোলো ছিলেন বিবিধ সদগুন বা নিস্কলুষতার অধিকারী। অন্য দিকে, তাঁর প্রতিষ্ঠা পাইথন নামক এক ড্রাগন হত্যার মাধ্যমে। গ্রীসের আর এক সূর্যদেব হাইপারিয়ন, ভারতের সূর্য প্রমুখের সংসারধর্ম পালনের কাহিনী সর্বজনজ্ঞাত। মিশরের সূর্যদেবতা আমনকে আমরা ঠীক সংসারী বলে জানিনে। কিন্তু ইতিহাস স্বাক্ষী, তিনিও নারীভোগে উৎসাহী ছিলেন।
কোনো সূর্যদেবের জন্ম বা লালনের জন্যে উপরি-উক্ত দুই কারণই একই সঙ্গে দায়ী কিনা, তা অবশ্যি নৃবিজ্ঞানীদের গবেষণার বিষয়। বর্তমান আলোচনায় তা নিয়ে আমাদের মাথা না ঘামালেও চলবে। এখানে শুধু এইটুকু বলাই যথেষ্ট যে, প্রথম কারণে জাত সূর্যদেবের সাথে দ্বিতীয় কারণে জাত ফোলানো-ফঁপানো মানুষের সংমিশ্রণ ঘটা অসম্ভব নয়।
এ-প্রসঙ্গে শেষ কথা, একদা বহু রূপে এবং বহুভূমে পূজিত, প্রবল-প্রতাপ এখন, স্বাভাবিক আর অনিবার্য কারণেই, পৃথিবীর অধিকাংশ মানবগোষ্ঠীতেই বর্জিত বা বিস্মৃত, বড়ো জোর স্মৃতিবাসী, আরো অসংখ্য দেবতার মতো। প্রকৃতির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে মানুষের যে অস্পষ্ট, অসম্পূর্ণ বা অবাস্তব ধারণা তাঁর জন্মের কারণ, তার ক্রমবিকশিত বিজ্ঞানমনস্কতায় তাঁর মৃত্যু বা প্রতিষ্ঠালোপ। একদা যিনি কোনো কোনো দেশে রাষ্ট্রীয় ধর্মের কেন্দ্রে অবধি জুড়ে বসেছেন, এখন তিনি জাগ্রত আর পূজিত কেবল কয়েকটি অনুন্নত খন্ড জাতির মনে আর গোঁড়া সম্প্রদায়ের মন্দিরে। এবং তাঁদের মধ্যেও তাঁর প্রভাব ক্রমক্ষীয়মাণ। আর কত দিন তিনি টিকে থাকতে পারবেন, বলা মুশকিল। তবে, তাঁর জন্যে আশার কথা, তিনি ইতিমধ্যেই, পৃথিবীর অনেক দেশেই, পুরাণকাহিনীর অন্যতম প্রধান পুরুষে-এবং তাই কুতূহী নৃবিজ্ঞানীর অনুসন্ধিৎসার লক্ষ্যে-পরিণত। দ্বিতীয়তঃ তিনি এখন কিছু নতুন শক্তির প্রতীকও। যেমন- কিন্তু সেকথা এখানে নয়।
(চলবে)
পড়ুন ‘সূর্যবাদ’ ২য় পর্ব
ইউরোপে সূর্যপূজো
সহায়ক গ্রন্থপঞ্জী
এই গ্রন্থের তথ্যাবলীর জন্যে কয়েকখানি সুপরিচিত বিশ্বকোষ তথা অল্পপরিচিত অভিধান ছাড়াও ব্যবহৃত গ্রন্থাবলীর মধ্যে বিশেষভাবে গ্রাহ্য-
১। পাকিস্তানের উপজাতি-পাকিস্তান পাবলিকেশানস, ১৯৬৩
২। পৃথিবীর ইতিহাসঃ প্রাচীন যুগ-ফিওদর কারাভকিন; প্রগতি প্রকাশন, মস্কোঃ ১৯৮০
৩। প্রতীচ্য পুরাণ-ফরহাদ খান; বাংলা একাডেমী, ঢাকা-১৯৮৪
৪। ব্রক্ষ্মাগুপুরাণ
৫। ভারতীয় দর্শন (প্রথম খন্ড)-দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়; ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রাঃ লিঃ, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রীট, কলকাতা-১৯৬৫
৬। ভারতবর্ষীয় উপাসক-সম্প্রদায়-অক্ষয়কুমার দত্ত; করুণা প্রকাশণী সংস্করণ, কলকাতা-১৯৮৭
৭। Asian Culture-no. 31-The Asian Culture Centre for UNESCO Tokyo; Spring-1982.
৮। Aztecs of Mexico-G. C. Vaillant; Pelican Book-1965
৯। Egyptian Wall Paintings-Christiane Desrochec-Novlecourt; Collins, Milan, Italy-1962
১০। Four Thousand Years Ago-Geoffry Bibby; Penguin Books-1965
১১। Lost Cities and Vanished Civilization-Robert Silvelberg; Bantam Book, New York-1963
১২। Man Makes Himself-V. Gordon Childe ; Penguin Book-1962
১৩। The Ancient world-Bhagawat Saran Upadhyaya: The Institute of Asian studies, Hyderabad, India-1954
১৪। The Growth of Civilisation-W.J. Perry; Pelican Books-1937
১৫। The Origins of Oriental Civilisation-Walter A. Fairservis, jr:, The New English Library; London: 4th printing-1959
১৬। What Happened in History? Gordon Childe; Penguin book-1962.