খালি পায়ে হাঁটুন, বুদ্ধি বাড়ান!
প্রকাশ : ১২ জুন ২০১৭, ০১:১৯
খালি পায়ে হাঁটার সঙ্গে আমাদের শরীর ভাল থাকার সরাসরি যোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, মস্তিষ্কের গঠন থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত শরীরে প্রতিটি কণাকে সুস্থ রাখতে খালি পায়ে হাঁটার যে কোনও বিকল্প নেই। প্রতিদিন সকালে উঠে খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটলে শরীরে কোনও রোগ আসে না।
কর্মব্যস্ত জীবনে শরীরের যত্ন নেয়া বেশিরভাগ সময়ই সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই তো এমন সহজ পদ্ধতিগুলির সাহায্য নেওয়া উচিত। না হলে একদিকে যেমন কমবে আয়ু, তেমনি বাড়বে একাধিক রোগের প্রকোপ।
খালি পায়ে হাঁটার উপকারিতা কী কী? চলুন জেনে নেয়া যাক সে সম্পর্কে-
১। ঠিক মতো ঘুম আসে না?
এই সমস্যার শিকার যদি আপনিও হয়ে থাকেন তো আজ থেকেই খালি পায়ে হাঁটা শুরু করুন। তাহলে আর না ঘুমিয়ে রাত্রি যাপন করতে হবে না। কারণ খালি পায় হাঁটার সময় আমাদের শরীর থেকে নেগেটিভ এনার্জি বেরিয়ে যায়। সেই সাথে স্ট্রেস রিলিজও হয়। মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়ার কারণে ঘুম আসতে আর কোনও অসুবিধাই হয় না।
২। বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে একটু খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি করুন। এমনটা করলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের নিউরনগুলি মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে অ্যাকটিভ হয়ে যাবে। ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়, তেমনি বুদ্ধির জোরও বাড়তে শুরু করবে।
৩। রক্তচলাচল স্বাভাবিক করে
খালি পায়ে হাঁটের সময় মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে সারা শরীরে রক্তচলাচল ঠিক মতো হতে শুরু করে। ফলে অক্সিজেন সমৃদ্ধি রক্ত বেশি বেশি করে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পৌঁছে গিয়ে তাদের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৪। হার্ট ভাল রাখে
শরীরে রক্তচলাচল যখন স্বাভাবিকভাবে হতে থাকে, তখন ব্লাড ক্লট এবং আর্টারিতে ময়লা জমার আশঙ্কা কমে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ হার্টের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে থাকে না বললেই চলে। খালি পায়ে হাঁটার আরেকটি উপকারিতা হল, এই সময় ব্লাড সেলগুলি মারাত্মক অ্যাকটিভ হয়ে যায়। ফলে রক্ত ঘন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
৫। দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করে
একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে প্রতিদিন ভোর বেলা, খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটলে পায়ের তলায় থাকা একাধিক প্রেসার পয়েন্টে চাপ পরতে শুরু করে। এই সব প্রেসার পয়েন্টের সঙ্গে চোখের সরাসরি যোগ রয়েছে। ফলে পায়ের তলায় যত চাপ পরে, তত দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে শুরু করে।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া