স্যানিটারি ন্যাপকিনে লুকিয়ে ক্যানসার
প্রকাশ : ২২ জুন ২০১৬, ১৬:৫৯
একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর ডাক্তারের প্রায় সব নারীকেই নিয়মিত চেকাপের কথা বলছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও এড়ানও যাচ্ছেনা জরায়ুতে ক্যানসার। দিনে দিনে মহামারীর আকারণ ধারণ করছে এই মারণব্যাধি।
দিন বদলেছে মানুষ হয়েছে আধুনিক। মহিলারা এখন সংক্রমণ এড়াতে ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়গুলিতে ঘরোয়া পদ্ধতি বাদ দিয়ে ব্যবহার করছেন স্যানিটারি ন্যাপকিন। আর বিপদ লুকিয়ে আছে তাতেই।
সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে জানা গেছে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার হতে পারে জরায়ুতে ক্যান্সারে অন্যতম কারণ।
এছাড়া আরও জানা গেছে, মহিলারা পিরিয়ড চলাকালীন যৌনাঙ্গে ব্যথা, চুলকানির সমস্যায় ভোগেন তার জন্যেও অনেকাংশে দায়ী থাকে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবহার।
কি ভাবে দায়ী?
ইউএস এনভায়রণমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সির গবেষণার দ্বরা প্রমাণিত, স্যানিটারি ন্যাপকিন অনেকাংশে রয়েছে জরায়ুর ক্যানসারে মূলে।কারণ স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি হয় ডাইঅক্সিন নামক এক ধরণের কেমিকেল দিয়ে। আর এই উপাদানটি ক্যান্সারের জন্যে দায়ী। তাছাড়া জরায়ুর নানা ধরণের সংক্রমণের পিছনেও রয়েছে এই উপাদানটি।
১৯৯৬ সালে সংস্থার এক গবেষণায় জানা যায়, প্রতিটি স্যানিটারি ন্যাপকিনে ডায়োক্সিন থাকে ৪০০ পিপিটি। এই ডায়োক্সিন সন্তান ধারণ ক্ষমতা ও জরায়ুর নানা ধরণের রোগের জন্যও দায়ী।
প্যাডের নিচে থাকা প্লাস্টিকের কারণে রক্ত যেমন বাইরে বের হতে পারে না, তেমনি বাতাস চলাচলেও বাধা পড়ে। ফলে স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় সহজেই ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেয়। ফলে সংক্রমণও হতে পারে।
দীর্ঘ সময় ধরে সুরক্ষা দেয় যে ন্যাপকিন গুলো, সেগুলো রক্তকে জেলে পরিণত করে ফেলে। কিন্তু ৫ ঘন্টা পরেই সেখানে ফাঙ্গাস জন্মাতে শুরু করে। আর ত্বকের সংস্পর্শে এসে নানা ধরণের জরায়ুর সংক্রমণ, চুলকানী হতে পারে।
প্রস্তুত প্রক্রিয়ার বিভিন্ন সময়ে নানা কেমিক্যাল ওয়াশের প্রয়োজন হয়। এর ফলে কিছু কেমিকেল রয়েই যায়। যা ত্বকের সংস্পর্শে এলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
সমস্যা এড়ানোর উপায়
যে কোম্পানীর ন্যাপকিনই ব্যবহার করুণ না কেন, চেষ্টা করুন, তা দীর্ঘ সময় ব্যবহার না করার। তবে সব থেকে ভালো তুলোর তৈরি ন্যাপকিন ব্যবহার করা। তাছাড়া যে ন্যাপকিনই ব্যবহার করুন না কেন তা ৪ঘন্টা অন্তর বদলে ফেলুন।