ভাত খান আর ওজন কমান !
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০১৭, ২৩:২৫
শ্রীলঙ্কার কলম্বোর কলেজ অফ কেমিক্যাল সায়েন্সের ছাত্র সুধেইর জেমস তার এক গবেষণায় প্রমাণ করেছেন, ভাত খেয়েও ওজন কমানো যায়। তার ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি (এসিএস)। এসিএস পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সায়েন্টিফিক সোসাইটি।
সুধেইরের গবেষণা প্রতিবেদন মতে, নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে ভাত রান্না করলে ভাত খেয়েও ওজন কমানো যাবে।
তা কী সেই পদ্ধতি? কিছুই না। দুধে-ভাতে বাঙালিকে এবার একটু তেলে-ভাতে হতে হবে।
ভাত রান্নার সময় আগে পানি বসান। চাল ধুয়ে রাখুন। যতটা চাল নিয়েছেন তার ৩ শতাংশ হারে নারকেল তেল দিন পানিতে। এরপর ওই তেল ভালো করে মেশান পানিতে। চাল ছেড়ে দিন। ভাত ফুটে গেলে নামিয়ে নিন। মার গেলে ভাত ঠাণ্ডা হতে দিন। কিছুক্ষণ পর যখন ভাত স্বাভাবিক তাপমাত্রায় চলে আসবে, তখন ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিন।
১২ ঘণ্টা পর ভাত বের করে নিন ফ্রিজ থেকে। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় চলে এলে, সেই ভাত খেতে পারেন। প্রয়োজনে গরম করে নিতে পারেন মাইক্রোওয়েভে।
সুধেইর জেমস বলছেন, এই পদ্ধতিতে ভাত রান্না করলে তার ৫০ শতাংশ ক্যালোরি কমে যায়। ভাত থেকে দু’ধরনের স্টার্ট তৈরি হয়। একটা হজম হয় (ডিজেস্টিভ স্টার্ক), আরেকটা হজম হয় না (রেসিস্ট্যান্ট স্টার্ক)। যেটা রেজিস্টান্ট স্টার্চ, সেটা নিয়ে ভয় নেই। কারণ, তার ক্যালোরি গায়ে লাগে না। ফ্যাট হয় না। শুধু মলের ক্ষেত্রে কাজে লাগে।
উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে ভাত রান্না করলে প্রায় অধিকাংশটাই রেজিস্টান্ট স্টার্চে পরিণত হয়। ফলে মন দিয়ে বেরিয়ে যায়। চর্বি হয়ে গায়ে লাগে না।
তাই ভাত খান আর ওজন কমান। বা বলা যেতে পারে, ভাত খান আর চর্বি গলান।