নীরোগ থাকতে কলাপাতায় খান
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০১৭, ১৮:০৪
কঠোর নিয়মকানুন কিংবা ব্যয়বহুল চিকিৎসায় নয়। শুধুমাত্র একটি অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমেই ভয়ংকর সব রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
সকাল, দুপুর বা রাতের খাবারে স্টিল, কাচ, প্লাস্টিক, মেলামাইন জাতীয় থালায় খাওয়ার অভ্যেস ত্যাগ করে কলাপাতায় খান। এতে ভয়ঙ্কর সব রোগ আপনার ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারবে না। চিকিৎসকরা বলছেন, কলাপাতার রসে প্রচুর গুণ। সেই রস খাবারের সঙ্গে মিশলে প্রচুর পুষ্টি বাড়ে।
কলাপাতার রসে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড, ক্যাসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ট্যানিন। টনিকের কাজ করে এ রস। তবে কলাপাতার রস খাওয়ার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র সকাল, দুপুর, রাতের খাবার কলাপাতায় খেলেই কাজ হবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়মিত কলাপাতায় খেলে সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কাইটিসে আশ্চর্য উপকার মেলে। কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশা, রক্তাল্পতা, চর্মরোগে কলাপাতার রস ম্যাজিকের মতো কাজ করে। লিভারের সমস্যা সারায়। ব্লাড প্রেশার কমায়। টিবি, আন্ত্রিকের মতো রোগেও ভাল কাজ করে কলাপাতার রস।
এছাড়া কলাপাতার রয়েছে অনেক গুণ।
স্বাস্থ্যকর
কলাপাতায় রয়েছে পলিফেনল। প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কলাপাতায় খেলে খাবারের সঙ্গে পলিফেনল মিশে পুষ্টি জোগায়।
ফ্লেভার
কলাপাতার গায়ে মোমের মতো একটা আবরণ থাকে। চমৎকার একটা ফ্লেভার থাকে। খাবারের সঙ্গে মিশে খাবারকে আরও টেস্টি করে তোলে।
ইকো-ফ্রেন্ডলি
প্লাস্টিক বা কাগজের প্লেটের চেয়ে কলাপাতা অনেক বেশি ইকো-ফ্রেন্ডলি। ব্যবহারের পর খুব অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যায়।
স্বাস্থ্যসম্মত
খাওয়ার আগে কলাপাতা খুব বেশি ধোয়ার প্রয়োজন নেই। অল্প একটু জল দিয়ে ধুয়ে নিলেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।
রাসায়নিকমুক্ত
স্টিলের থালা হোক বা কাচের প্লেট, জল-সাবান দিয়ে ধুতে হয়। খুব ভাল করে ধুলেও সাবানের রাসায়নিক প্লেটে লেগে থাকতে পারে। কিন্তু কলাপাতায় এসবের প্রয়োজন নেই। তাই খাবারও থাকে রাসায়নিকমুক্ত।
তাহলে দেরি কেন? আজ থেকেই বাদ দিন স্টিলের থালা, কাচ, কাগজ বা প্লাস্টিকের প্লেট। খাবার খান কলাপাতায়।