ক্যন্সারের ঝুঁকি বাড়ায় অধিক শোষণক্ষমতাসম্পন্ন প্যাড
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০১৮, ২৩:৫৭
পিরিয়ডের সময় নারীদের সবচেয়ে জরুরী ব্যবহার্য জিনিসটি হচ্ছে স্যানিটারি ন্যাপকিন। অথচ ন্যাপকিনটির সঠিক ব্যবহার না জানায় আপনি পড়তে পারেন জরায়ু ক্যান্সারসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। অনেক বেশী শোষণ ক্ষমতা সম্পন্ন, অনেকটা সময় লিকেজ প্রতিরোধ করে এমন প্যাড স্বচ্ছন্দে বেছে নেন নারীরা। চটকদার বিজ্ঞাপনে আগ্রহী না হয়ে প্রয়োজন সচেতনতা।
১) স্যানিটারি ন্যাপকিন কতক্ষণ পর পর বদল করা ভালো? এই তথ্যটি অনেকেই জানেন না। ব্লিডিং কম হলে অনেকেই দীর্ঘ সময় একই প্যাড পরিধান করেন, যা কখনোই উচিত নয়। ব্লিডিং কম হোক বা বেশী, একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন কখনোই দীর্ঘ সময় ব্যবহার করবেন না। প্রতি ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর পর বদলে ফেলুন প্যাড। তা না হলে যৌনাঙ্গের নানান রকম অসুখ ও ফাঙ্গাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হতে পারেন।
২) অধিক শোষণ ক্ষমতা সম্পন্ন প্যাডে থাকে ক্ষতিকর ডায়অক্সিন, রেয়ন। যত বেশী শোষণ ক্ষমতা সম্পন্ন, এসব উপাদানের পরিমাণ ততই বেশী। আর এই সব জরায়ু ক্যান্সার হতে শুরু করে সন্তান না হওয়া পর্যন্ত হরেক রকম ভয়াবহ স্বাস্থ্য সমস্যায় ফেলে দিতে পারে আপনাকে। তাই সচেতনতা জরুরি।
৩) প্রত্যেকবার স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলের সময় নিজেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে নিন। কুসুম গরম পানির সঙ্গে জীবাণুনাশক সাবান বা বডি ওয়াশ দিয়ে নিজেকে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। তারপর স্থানটি জীবানুনাশক কোন লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ও মুছে নিয়ে তবেই স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করুন।
৪) প্রত্যেকবার স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তনের সময় অন্তর্বাসটিও পরিস্কার করুন। নইলে কষ্ট অরে নিজের এত পরিচ্ছন্নতার কোন মানে নেই।
৫)কৃত্রিম সুগন্ধীউক্ত প্যাড না কেনাই ভালো। সুগন্ধী উপাদানগুলো আপনার গোপনঅঙ্গে কালো দাগ ও এলার্জি তৈরি করতে পারে।
সূত্র: আনন্দবাজার