আগৈলঝাড়ায় কার্ডের অভাবে ব্যাহত টিকাদান কর্মসূচি
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০১৭, ২৩:৫০
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার টিকাদান কার্ডের অভাবে মাসের পর মাস শিশুদের ইপিআই টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে। হলুদ রংয়ের ওই কার্ডের অভাবে মাঠপর্যায়ের ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে এখন সাদাকাগজে হাতে লিখে দেওয়া হচ্ছে শিশুদের টিকার রুটিন প্লান। বেশ কয়েকটি জায়গায় আবার কার্ডের ফটোকপি করে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে আগামী ২ মাসের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ইপিআই টিকাদান কার্ড মূলত শিশুদের যক্ষ্মা, পোলিও, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টঙ্কার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি জনিত রোগ, হাম, নিউমোক্কালজনিত নিউমোনিয়া ও রুবেলা রোগের টিকা প্রদানের সেশন প্লানের কাজে ব্যবহৃত হয়। যাকে টিকার ক্যালেন্ডারও বলা চলে। ৪২ দিন পূর্ণ হওয়া শিশুকে প্রথম টিকা প্রদানের দিন থেকে এ কার্ডটি নবজাতক শিশুর জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি কার্ডটি শিশুকে স্কুলে ভর্তি করানোর সময়, বিদেশ গমনের সময়, টিডি টিকা দেওয়ার সময় আর বর্তমান সময়ে জন্মনিবন্ধনের কাজেও লাগে। যা কার্ডের গায়েও ছাপার অক্ষরে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ইপিআই লোকমান হোসেন জানান, এই উপজেলার জন্য বছরে ৪ হাজার ৮২৪টি কার্ডের চাহিদাপত্র বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তার বদলে তারা এ বছর মাত্র ৩শ’ কার্ড পেয়েছেন।
বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, এখন ফটোকপি বা সাদাকাগজে টিকাদান কার্ডের কাজ চালিয়ে নেওয়ার জন্য সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কার্ড এলে সেগুলো ঠিক করে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তারা কার্ড ছাপতে দিয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। আগামী ২-১ মাসের মধ্যে কার্ডের সঙ্কট আর থাকবে না।