নবজাতকের সঙ্গে ভুলেও করবেন না যে কাজ

প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২১:২১

জাগরণীয়া ডেস্ক

পরিবারে নতুন অতিথি আসলে উচ্ছ্বাসের শেষ থাকে না। বাড়িতে যেন একটা সাজ সাজ রব পড়ে যায়। আনন্দের অতিশার্যে আত্মীয়-স্বজদের অনেকেই বাসায় নবজাতককে দেখতে আসেন। অনেকে আবার হাসপাতালেই ছুটে যান। এ সময় খুশির চোটে কেউ কেউ এমন কিছু কাজ করে ফেলেন যা নবজাতকদের সঙ্গে কখনই করা উচিত নয়। এতে তার ইনফেকশনের সম্ভাবনা বাড়ে। আবার নবজাতকের সুরক্ষায় তাদের সঙ্গে এসব কাজ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরাও। নবজাতকদের সঙ্গে যা করবেন না-

হাসপাতালে যাবেন না
প্রিয় বন্ধু বা কাছের কারও সন্তান হয়েছে খবর পেয়েই হাসপাতালে দেখতে যাবেন না। কারণ শিশুর জন্মের পর কিছুটা সময় শুধু মায়ের সঙ্গে থাকা উচিত। আবার যত বেশি বাইরের লোক যাওয়া-আসা করবে ততই মা ও শিশুর ইনফেকশনের সম্ভাবনা বাড়বে। তার চেয়ে বরং নতুন বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করুন, তাদের কী প্রয়োজন। শিশু বাড়িতে এলে প্রয়োজনীয় জিনিস, খাবার বা উপহার নিয়ে দেখতে যান।

না বলে দেখতে যাবেন না
শিশু হাসপাতাল থেকে বাড়ি আসার পর যদি দেখতে যান তা হলে জানিয়ে যাবেন। না জানিয়ে দেখতে যাওয়া কখনই ঠিক নয়। কেননা আপনি যখন গেলেন হয়ত মা শিশুকে খাওয়াচ্ছেন কিংবা অবিন্যস্ত অবস্থায় রয়েছেন। আবার মা হওয়ার পর তার নিজেরও গুছিয়ে নেওয়ার কিছুটা সময় প্রয়োজন হয়। তাই যতই কাছের বন্ধুই হোন না কেন, সব সময় জানিয়ে যান। সঙ্গে অবশ্যই হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে যান। শিশুর ঘরে জুতো পরে ঢুকবেন না।

কোলে নেবেন না
দেখতে গিয়েই শিশুকে কোলে তুলে নেবেন না। বিশেষ করে বাচ্চা যদি ঘুমিয়ে থাকে। ঘুমন্ত বাচ্চাকে কোলে নিতে গেলে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। এতে স্বাভাবিকভাবেই শিশুর মা বিরক্ত হবেন। যদি একান্তই কোলে নিতে ইচ্ছা করে তা হলে মায়ের অনুমতি নিন। কোলে নিলেও শিশুর গালে বা হাতে চুমু খাবেন না।

অসুস্থ থাকলে যাবেন না
নবজাতককে দেখার জন্য তর সইছে না। তাই নিজে অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও চলে গেলেন, এমনটা ভুলেও করবেন না। শিশুর মা কখনই চাইবেন না তার সন্তানের সামনে বসে আপনি হাঁচি কিংবা কাশি দিন। কাজেই এই অসংবেদনশীল আচরণ থেকেও বিরত থাকুন।

ছবি তুলবেন না
নবজাতক শিশুদের ছবি তোলা উচিত নয়। অযথা ছবি তুলবেন না বা ছবি তোলার জন্য বাবা, মায়ের অনুমতি চাইবেন না। ফ্লাশের আলো শিশুদের জন্য ভাল নয়। অনেক মাস গর্ভে থাকার পর বাইরে এসে এমনিতেই অনেক আলোর মধ্যে পড়তে হয় ওদের। তার চেয়ে বরং অন্য কাজে সাহায্য করুন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত