অতিরিক্ত ঘুমে মারাত্মক ক্ষতি
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২২:০০
অনেকের ঘুম আসে না এটা কমন সমস্যা। আবার এমনও অনেক রোগী আছেন যাদের সমস্যা হল তাদের সারাদিন ঘুম আসে। আজ তাই লিখব ঘুম কমানোর উপায় নিয়ে।
বেশি ঘুমানো কি?(Hypersomnia)
অতিরিক্ত ঘুমানো সংক্রান্ত অনেক গবেষণায় প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে ৯ ঘন্টার বেশি ঘুমানোকে মানদন্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে।তবে প্রায় সব ঘুম বিশেষজ্ঞ অতিরিক্ত ঘুমানো নির্ণয়ে দিনের বেলা তন্দ্রা বা ঘুমিয়ে পড়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
অতিরিক্ত ঘুমানোর কারন:
১) হাইপোথাইরয়েডিজম
২) আয়রন কমার কারনে রক্তস্বল্পতা
৩) অতিরিক্ত মোটা হওয়া
৪) রাতে কম ঘুমানো
৫) ঘুমে হঠাৎ নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসা
৬) ব্রেইন এর বিভিন্ন অসুখ
৭) বিষন্নতা
৮) চিকিৎসারত মৃগী রোগী
৯) ফাইব্রোমায়ালজিয়া
১০) কিডনি রোগী
১১) কিছু রোগ যেমন: অটোইমিউন রোগ,কিছু ভাইরাল রোগ
১২) মাদকাসক্তি
১৩) জেনেটিক
১৪) অজ্ঞাত কারন
অতিরিক্ত ঘুমানোর ক্ষতিকর দিক:
১) হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া
২) ব্রেইন এর কাযকারিতা কমে যাওয়া
৩) মোটা হয়ে যাওয়া
৪) ডায়াবেটিস
৫) মাথাব্যথা
৬) মনযোগের অভাব ও কাজে পিছিয়ে যাওয়া
প্রতিকার:
এই সমস্যার প্রতিকার করতে অবশ্যই ডাঃ দেখিয়ে কারন বের করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
ঘুম কমানোর কিছু উপায়:
১) ঘুম আসার আগে বিছানায় না যাওয়া।
২) বেডরুমকে শুধু ঘুম ও সংগমের কাজে ব্যবহার করা।
৩) রাতে ঘুমানোর সময় ছাড়া যখন তখন যেখানে সেখানে শুয়ে রেস্ট নেয়ার অভ্যাস ত্যাগ করা।
৪) কখন কাজ করবেন আর কখন ঘুমাবেন এই বিষয়ে রুটিন তৈরি করুন। ঘুমানোর জন্য যে সময় বাছবেন ঠিক সেই সময়ই ঘুমাতে যান। ঘুমের জন্য একটি পরিবেশ তৈরি করুন।
৫) ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার সব বন্ধ করুন। ঘুমানোর স্থানকে আরামদায়ক করুন।
৬) ঘুম ঘুম ভাব কমাতে গ্রিন টি পান করতে পারেন। এটি অবসন্নভাব ও মানসিক চাপ কমাতে কাজ করে।সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ গ্রিন টি পান করতে পারেন।
৭) সারাদিন অল্প অল্প করে চার থেকে পাঁচবার খাবেন, বেশি খাবার ঘুম বাড়ায়। তাই বেশি খাবার সম্পূর্ণ রুপে বর্জন করুন।
৮) প্রতিদিন আধাঘন্টা ব্যায়াম করুন -ঘুমানোর আগে হাঁটুন।
৯) নেশাজাতীয় দ্রব্য বর্জন করুন।
১০) লাল মাংস, মিষ্টি, ভাত, আম -এগুলো ঘুম বাড়ায়-যথাসম্ভব বর্জন করুন।
সবচেয়ে বেশী জরুরী হলো মনের জোর। তবে ছয় ঘণ্টার কম ঘুম ভুলেও ঘুমাবেন না। সবাই ভাল থাকুন।