স্তনের ফোড়া/ইনফেকশন
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:৫০
স্তনের ফোঁড়া বা ইনফেকশন হওয়া রোগটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুগ্ধদানকারী মায়েদের হঠাৎ করে হয়ে থাকে। তবে অন্য সময়ও এ রোগটি হতে পারে। স্তনে জোরে আঘাত পেয়ে রক্ত জমে যাওয়া, স্তনের বোটায় শিশুর বা অন্য কারো কামড়ে দেয়া বা অন্য কোনো ঘা থেকেও এমনটি হতে পারে। জন্মগত ভাবে যে সকল নারীর স্তনের বোটা ভেতরের দিকে থাকে (Nipple retraction) তাদের এই রোগ হবার হার অনেক বেশি। তবে এই রোগটি ব্যাকটেরিয়া জনিত একটি রোগ এবং স্টেফাইলোকক্কাস অরিয়াস (Staphylococcus aureus) নামক ব্যাকটেরিয়াটিই এই রোগ ঘটানোর জন্য মুলত দায়ী।
এ রোগ হলে স্তনে টনটনে ব্যথা হয়, স্তন গরম হয়ে যায়, কিছুটা লালচে বর্ণ ধারন করে এবং ফুলে যায়। অনেক সময় স্তনের ত্বক টানটান হয়ে চকচকে হয়ে যায় এবং স্পর্শ করলেই তা ব্যথার উদ্রেক করে।
শুরুতেই এই রোগ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসলে তার পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক খেলে রোগটি নিয়ন্ত্রিত থাকে। এই সময় স্তনটিকে বিশ্রামে রাখতে হয় এবং তা থেকে শিশুকে দুগ্ধদান বন্ধ রাখতে হয়, তবে ব্রেস্ট পাম্প নামক যন্ত্রের সাহায্যে দুগ্ধ বের করে ফেলতে হয়। শিশুটি এই সময় অন্য পাশের স্তন থেকে দুগ্ধপান করতে পারে। সাধারণত এন্টিবায়োটিক শুরুর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইনফেকশন নিয়ন্ত্রনে চলে আসে এবং এটি অনেক সময় একটি চাকার মতো হয়ে জমে যায়। এমনটি হলে তা থেকে পরবর্তীতে আলট্রাসনোগ্রাম করে দেখে সিরিঞ্জের মাধ্যমে পাজ (Pus) বের করে দিতে হয়। ৪৮ ঘন্টার মধ্যেও যদি ওষুধ কাজ না করে তাহলে অপারেশন এর মাধ্যমে Pus বের করে দিতে হয়।