সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০১৭, ০২:৪০
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঁধ অভ্যান্তরে এবং চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ১০ জুলাই (সোমবার) দুপুরে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই নদী তীরবর্তীসহ চরাঞ্চলের নিচু এলাকায় উঠতি ফসল ডুবে গেছে। কোন কোন চরের নীচু এলাকার বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বন্যার পানি প্রবেশ করায় যমুনার তীরবর্তী কাজিপুর, শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি ও সদর উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ২০০৭ সালে ভেঙ্গে যাওয়ার পর তা আর সংস্কার না করায় ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে রাণীগ্রাম, গুনেরগাঁতী, ও খোকশাবাড়ী এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। এসব এলাকার বন্যা কবলিত মানুষ বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন। বিপাকে পড়েছেন গবাদি পশু নিয়ে।
৯ জুলাই (রবিবার) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় কাজীপুর সদর ইউনিয়নের ৩ নং স্পার এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গনে ৫৭টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, গত কয়েকাদন যাবৎ যমুনা নদীর পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিপদসীমার ৩০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের শুভগাছা ইউনিয়নের টুটুলের মোড় পয়েন্ট কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেখানে বালির বস্তা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এছাড়া, বাঁধের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য টাংগাইলের ঘাটাইল সেনানিবাসের একটি প্রকৌশলী দল শনিবার বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। যেকোন ধরনের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে।
জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য শুক্রবার থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে ২ লাখ টাকা ও ১শ’টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।