তিস্তার পানি বিপদসীমার উপরে
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০১৭, ২১:৩৮
ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের চরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। তিস্তার পানিতে জেলার প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আজ ১ জুলাই (শনিবার) সকাল থেকে নদীগুলোর পানি বাড়তে শুরু করে। আজ সকাল ৯ টা থেকে হাতিবান্ধায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৮ সে.মি. উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, তিস্তা পাড়ের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভারত গজল ডোবা ব্যারেজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ঘর বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে। প্রচন্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। আরও কি পরিমাণ পানি আসবে তা ধারনা করা যাচ্ছে না। পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেটই খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে তিস্তার পানিতে পাটগ্রামে অবস্থিত বহুল আলোচিত ছিটমহল আঙ্গোরপোতা- দহগ্রাম, হাতিবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার চর এলাকার ১৮ গ্রামের ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
তিস্তা ব্যারেজ রক্ষনাবেক্ষন প্রকল্পের বিভাগীয় প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান জানান, ভারতের গজল ডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেয়া হয়েছে।