হাওরে মহাদুর্যোগ
‘হাওর জলাশয়’-এ এক সপ্তাহ মাছধরা নিষিদ্ধ
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:১৪
![](https://bangla.jagoroniya.com/templates/jagoroniya-v1/images/jagoronia.png)
![](/assets/news_photos/2017/04/23/image-7843.jpg)
হাওর-জলাশয়ে ধান পচে এমোনিয়া গ্যাসে মাছের মহামারি শুরু হওয়ায় প্রশাসন মাইকিং করে পচা মাছ না খাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়ার পর ২০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) থেকে সাতদিনের জন্য হাওর-জলাশয়ে সবধরণের মাছধরা নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন। ২০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম এই নির্দেশনা জারি করেছেন। তবে ভাসান পানিতে মাছধরা যাবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
প্রশাসন জানায়, গত কয়েক দিন ধরে হাওর-জলাশয়ে মাছ মরে ভেসে ওঠছে। এতে হাওরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আগে থেকেই মৎস্য বিভাগ বিভিন্ন উপজেলায় মাইকিং করে মরা মাছ খাওয়া থেকে জনগণকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে আসছে। অবস্থা অপরিবর্তিত থাকায় ২০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম আগামি এক সপ্তাহের জন্য সুনামগঞ্জের হাওর জলাশয় (যেখানে সাধারণত মাছ ধরা হয়) এমন স্থানে সবধরণের মাছধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে মাছের মহামারির পর হাওরের বিভিন্ন স্থানে হাসও মারা যাচ্ছে। জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের নুসরাত হাঁসের ফার্মের মালিক আবুল কাশেমের প্রায় ৪ হাজার হাঁস মরে গেছে। এতে তার প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে খামারি আবুল কাশেম জানান।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কামরুল ইসলাম জানান, দুষিত পানি খেয়ে এসব হাঁস মারা যাচ্ছে। মাছ মারা যাচ্ছে এমোনিয়া গ্যাসে।
জেলা মৎস্য অফিসার রঞ্জন কুমার দাস বলেন, আমরা মাইকিং করে হাওরে ভেসে ওঠা পচা মাছ না খাওয়ার জন্য সতর্কতা জারি করেছি। পাশাপাশি আমরা যেখানে সাধারণত সবসময় মাছ ধরা হয় সেসব স্থানে মাছ না ধরার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।