প্রত্যুষাকে জোর করে দেহব্যবসা করাতেন রাহুল!

প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০১৬, ১১:৫৮

জাগরণীয়া ডেস্ক

ভারতীয় অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দোপাধ্যায় মৃত্যু রহস্যে নতুন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। প্রত্যুষাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত তার বয়ফ্রেন্ড রাহুল রাজ সিংহ নাকি তাকে জোর করে দেহব্যবসায় নামতে বাধ্য করেন। 

এই দাবি করেছেন প্রত্যুষার বাবা-মা শেখর এবং সোমা ব্যানার্জির আইনজীবী নীরজ গুপ্তা। প্রত্যুষা মারা যাওয়ার ঠিক আগে রাহুলের সঙ্গে একটি টেলি কথোপকথন তার হাতে এসেছে। যার ভিত্তিতে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করছেন তিনি। নীরজের দাবি, তিন মিনিটের ওই ফোন কলে প্রত্যুষা বলেছিলেন, আমি এখানে এসেছিলাম অভিনয় করতে। নিজেকে বেচতে তো আসিনি। রাহুল তুমি আমাকে কোথায় এনে ফেলেছ! তোমার কোনো ধারণা নেই, আমার কতটা খারাপ লাগছে। 

নীরজ জানিয়েছেন, এই কথোপকথন থেকেই পরিষ্কার রাহুল জোর করে প্রত্যুষাকে দেহব্যবসায় নামতে বাধ্য করেছিলেন। পরে ফোনে ‘প্রস্টিটিউশন’ শব্দটাও নায়িকা ব্যবহার করেছিলেন। এ সব শুনে রাহুল ফোন কেটে দেন। ঠিক তার পরেই প্রত্যুষা আবার ফোন করে বলেন, ‘তুমি হিংসুটে। তুমি আমার বদনাম করছ। লোকে আমাকে নিয়ে খারাপ কথা বলছে। আমার বাবা-মাকেও হুমকি দিচ্ছে। সব কিছু শেষ হয়ে গেল রাহুল। আমি মরে গিয়েছি (মর গ্যায়ি ম্যায়)।’ 

এরপর রাহুল প্রত্যুষার ফ্ল্যাটে আসতে চান। কিন্তু প্রত্যুষার শেষ কথা ছিল, ‘তুমি এসে কী করবে? আর আধ ঘন্টার মধ্যে সব কিছু শেষ হয়ে যাবে।’ নীরজের প্রশ্ন, কে বা কারা প্রত্যুষার বাবা-মাকে হুমকি দিচ্ছিলেন তা পুলিশের তদন্ত করে বের করা উচিত ছিল। কিন্তু পুলিশ তা করেনি। প্রত্যুষার হাতে যেকোনো কাজ ছিল না আমি জানতাম। আমি ওকে সাপোর্টও করতাম। আর এই ফোন কল হাতে আসার পর বোঝাই যাচ্ছে রাহুল জোর করে ওকে দেহব্যবসায় নামতে বাধ্য করেছিল। 

উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল মুম্বইতে নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেন প্রত্যুষা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় মূল অভিযোগের আঙুল ওঠে প্রত্যুষার বয়ফ্রেন্ড রাহুল রাজ সিংহের দিকে। প্রাথমিক তথ্য হাতে আসার পর পুলিশ রাহুলকে গ্রেফতার করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান।

0Shares
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত