জাবি সুইমিং পুলের বেহাল দশা
প্রকাশ : ০২ মে ২০১৭, ১৯:৫৮
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অযত্ন আর অবহেলায় ২১ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পাশে অবস্থিত ক্যাম্পাসের একমাত্র সুইমিং পুল। সংস্কারের অভাবে এটির এখন বেহাল দশা। সুইমিং পুলের তলানিতে জমে থাকা বৃষ্টির নোংরা পানিতে জমে আছে নানা আবর্জনা।
সুইমিং পুলটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৭৮ সালে। এটির জন্য তৎকালীন ৪২ লক্ষাধিক টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও নির্মাণ করা হয়নি প্রয়োজনীয় দর্শক গ্যালারি, ড্রেসিং রুম এবং এর চারপাশের দেয়াল ও ছাঁদ। নির্মাণ অসম্পূর্ণ থাকায় মাত্র ৮ বছরের মধ্যেই সুইমিং পুলের পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় শারীরিক শিক্ষা বিভাগ। ফলে ২১ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে এটি। এতে করে সুইমিং পুলের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
নিরাপত্তার জন্য দেয়াল, প্রবেশদ্বার ও সার্বক্ষণিক প্রহরীর ব্যবস্থা না থাকায় ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এখানে অবাধে চলাচল করে বহিরাগতরা। সন্ধ্যা হলেই মাদকাসক্তদের দখলে চলে যায় সুইমিং পুলের পুরো এলাকা।
প্রহরীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রয়োজনীয় দেয়াল এবং প্রবেশদ্বার না থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বহিরাগতদের এখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া সম্ভব হয় না। এদিকে এই এলাকাটি অপেক্ষাকৃত নির্জন হওয়ায় চুরি, ছিনতাইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় নারীদের শ্লীলতাহানিও ঘটে থাকে।
শারীরিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুইমিং পুল না থাকাটা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। এতে করে একদিকে যেমন আমরা এটির সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি অন্যদিকে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও জাবির শিক্ষার্থীরা সাঁতারের ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারছে না।
এদিকে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক মো. সিফাতুল্লাহ বলেন, সুইমিং পুলটি আবার নতুন করে চালু করতে গেলে প্রায় এক কোটি টাকা প্রয়োজন। অথচ পুরো বিভাগের জন্য বার্ষিক খরচ দেওয়া হয় মাত্র ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।