‘পুরনো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়'

প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০১৬, ২০:৪৩

জাগরণীয়া ডেস্ক

পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থনের পথ ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে হলো ৪র্থ পুনর্মিলনী।

‘সুবর্ণ স্মৃতির মধুর আনন্দে এসো মিলি মোরা সৃজনী ছন্দে’- প্রতিপাদ্য নিয়ে শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসিতে) বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী মিলনমেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। পরে কেন্দ্রের মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় আলোচনা অনুষ্ঠান। 

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. রওশন আরা ফিরোজের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম বেগম, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অধ্যাপক সালমা আখতার। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, অ্যালামনাইদের সম্মিলনে নানা প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণের স্পন্দন পাওয়া যায়। অ্যালামনাইরা এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে দেশে-বিদেশে বিভিন্নভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। এ ধরনের আয়োজন প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মাতৃসম প্রতিষ্ঠান এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো মিলনের সুযোগ তৈরি করে দেয়।
 
তিনি বলেন, আলোকিত ভুবন আমরা চাই। চারদিক আলোকিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আপনারা যেখানে উপস্থিত থাকেন সেই জায়গাটা আলোকিত হয়ে ওঠে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই হলেরই একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী। এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব।
 
অ্যালমনাইদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, উন্নয়নশীল দেশ নয়, উন্নত দেশেও সামাজিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হয়েছে। যেখানে মানুষ মানুষকে ভালোবাসার কথা সেখানে মানুষ মানুষকে দূরে সরিয়ে রাখার চক্রান্ত চলছে। 
 
প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, রোকেয়া হলের ছাত্রী হিসেবে নিজেকে গর্ববোধ করি। কারণ এই হলটি যে মহিয়সী নারীর নামে নামকরণ করা হয়েছে। 
 
তিনি বলেন, আমাদের সময় সমাজ ভিন্নভাবে চলতো। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে, দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে। আজকে যে রিজার্ভ বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে সবই নারীদের কারণে সম্ভব হয়েছে।

উদ্বোধন পর্ব শেষে প্রাক্তন ছাত্রীরা মেতে ওঠেন আড্ডায়। টিএসসির সবুজ মাঠে তৈরি করা হয়েছে প্যান্ডেল। যেখানে বসে তারা পুরনো দিনে ক্যাম্পাসের স্মৃতি ভাগ করছেন। আনন্দঘন এই মুহূর্তকে ফ্রেমে বন্দি করছেন। বাদ যাচ্ছে না সেলফিও।

পুনর্মিলনী উৎসবের বিকেলের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন এমপি। এতে স্মৃতিচারণ, যাদু প্রদর্শন, নৃত্যনাট্য ও সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রতিবছর ৫০০ ছাত্রীকে বৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একে আজাদ। এই বছর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সমাজে নানাভাবে অবদান রাখায় রোকেয়া হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রাক্তন ৭ জন ছাত্রীকে সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- সাঈদা খানম, ফাহমিদা খাতুন, মালেকা বেগম, লায়লা হাসান, রাফিয়া আক্তার ডলি, সাবিনা ইয়াসমিন এবং জিনাত বরকতুল্লাহ। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত