ঢাবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে দিয়ে হয়রানির অভিযোগ
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:৩৭
প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষক ছাত্রীকে দিয়ে একই বিভাগের আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করিয়েছেন বলে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে। ১৪ অক্টোবর (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অভিযুক্ত শিক্ষক আরিফ বিল্লাহ নিজেই এই দাবি করেন।
শিক্ষক আরিফ বিল্লাহর অভিযোগের তীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও একই বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে।
সংবাদ সম্মেলনে আরিফ বিল্লাহ বলেন, এক ছাত্রী ১০ অক্টোবর আমার বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তড়িঘড়ি করে ১২ অক্টোবর বিভাগের একাডেমিক কমিটি একটি জরুরি মিটিং ডাকে। সেখানে বিষয়টি তোলা হয়। আমি তখন অভিযোগপত্রের একটি কপি দাবি করি। কিন্তু বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুস সবুর খান বলেন, কপি দেওয়া যাবে না। আমাকে না দেওয়া গেলে অধ্যাপক কুলসুম আবুল বাশারের কাছে একটি কপি জমা রাখার দাবি জানাই। চেয়ারম্যান তার কাছেও দেননি। উল্টো ওই মিটিংয়ে তাকে ক্লাস-পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, পত্রে অভিযোগকারী কোনো বিচার চাননি বলে মিটিংয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন। কিন্তু সাইফুল ইসলাম খান দূর থেকে বলেন, ‘না তুমি ভুল বলছ, দেখ নিচের দিক থেকে দুই লাইন উপরে বাম পাশে সে কথা লেখা আছে।’ এর থেকে প্রমাণ হয় সাইফুল ইসলাম খান অভিযোগটির খসড়া করে দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরিফ বিল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে অন্যের বই ও গবেষণা জালিয়াতি, গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি, কলা ভবনের এক কক্ষ সংস্কারে আর্থিক অনিয়ম, আলমারি নিয়ে নেওয়াসহ একাধিক অভিযোগ করেছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বিভাগের এক ছাত্রীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে কটূক্তি করার অভিযোগ করিয়েছেন।
এদিকে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তদান্তাধীন রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ। দীর্ঘদিন ধরেই সেগুলোর তদন্ত চললেও বিচার কেন হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লোকবলের তুলনায় অভিযোগের পরিমাণ অনেক। তা ছাড়া আমরা এটা নিয়ে মাসে মাত্র একবার বসতে পারি। তাই দেরি হচ্ছে।