প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে স্বতন্ত্র পিএসসি গঠনের সুপারিশ
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০১৭, ২০:০৩
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্বতন্ত্র পিএসসি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।
সংসদ ভবনে ১১ অক্টোবর (বুধবার) কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্কুল ফিডিং নীতিমালা প্রণয়নের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার সুপারিশও করা হয়।
কমিটির সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, সামশুল হক চৌধুরী, মো. নজরুল ইসলাম বাবু, মো. আবুল কালাম, আলী আজম এবং বেগম উম্মে রাজিয়া কাজল সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় গণসাক্ষরতা কার্যক্রম, প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৮ সালের এনসিটিবির বই ছাপানোর অগ্রগতি সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সভায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য আমদানীকৃত পঞ্চাশ হাজার ল্যাপটপ মানসম্পন্ন কিনা, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়েছে কিনা, ল্যাপটপ সংগ্রহে কোন দুর্নীতি করা হয়েছে কিনা তা তদন্তপূর্বক দু’মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন সংসদীয় কমিটিতে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। তাছাড়া সভায় সরবরাহকৃত মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও ল্যাপটপ চালনা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়সমূহের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পর্যায়ক্রমে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদানেরও সুপারিশ করা হয়।
কমিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তথ্য ভান্ডারের (ডাটাবেজ) আওতায় বাংলাদেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় যুক্ত করার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার সুপারিশ করে। এছাড়া সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নতমানের প্লাস্টিকের ফার্নিচার সরবরাহেরও সুপারিশ করে।
সভায় আগামী বছর জানুয়ারি মাসের মধ্যে বাংলাদেশে শিক্ষার্থী -শিক্ষকের অনুপাত ১:৪০ করার প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকার পদ সৃজনের সুপারিশ করা হয়। তাছাড়া বৈঠকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৮ সালের এনসিটিবির বই ছাপানোর কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করারও সুপারিশ করা হয়।
কমিটি গণস্বাক্ষরতার হার শতভাগ নিশ্চিতের লক্ষ্যে পাইলট প্রকল্প গ্রহণপূর্বক তা বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করে।
সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয়এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।