বৈশাখী শাড়ির চাহিদা পূরণে ব্যস্ত তাঁত শ্রমিকরা
প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০১৭, ২০:১৯
বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। এ উৎসবকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলের তাঁত শিল্প সমৃদ্ধ এনায়েতপুর-চৌহালী, বেলকুচি ও শাহজাদপুর উপজেলার তাঁতিরা শেষ মুহূর্তের অতিরিক্ত চাহিদার বৈশাখী শাড়ী উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছে।
শ্রমিক কর্মচারীরের পাশাপাশি বাড়ির সবাই এখন ব্যস্ত এ কাজে। পহেলা বৈশাখে সিরাজগঞ্জের শাড়ীর ব্যাপক চাহিদা থাকায় শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, ফতুয়াসহ অন্যান্য বৈশাখী পোশাক তৈরীতে তাঁত পল্লীর পাশাপাশি প্রিন্টিং কারখানার শ্রমিকদের বিশ্রামের সুযোগ নেই। তারা দিনরাত নতুন নতুন ডিজাইনের বিভিন্ন সাইজের শাড়ি ও লুঙ্গি সহ পোশাক প্রিন্ট করছে।
এনায়েতপুরের খামারগ্রাম, বেতিল, গোপালপুর, গোপরেখী, গোপিনাথপুর ও শিবপুর, বেলকুচি উপজেলার তামাই, মুকুন্দগাতী ও সেরনগর, শাহজাদপুর উপজেলা সদর সহ এলাকার প্রায় ৬৫টি কারখানায় চলছে শাড়ী, লুঙ্গি, থ্রি পিছ ও ফতুয়া প্রিন্টের কাজ। এতে বাংলার ঐতিহ্য ঢোল, ডুগি-তবলা, একতারা, দোতারা, হাতি-ঘোড়া, পলো, ইলিশ, নৌকা, ধানের শীষ, লাঙল, হাত পাখা, ঘুড়িসহ নানা ধরনের আল্পনা আকা হচ্ছে। এছাড়া রং তুলির আচরে তুলে ধরা হচ্ছে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐহিত্য ও সংস্কৃতি।
সায়দাবাদ এলাকায় বৈশাখী শাড়ি প্রিন্ট কারখানার কয়েকজন শ্রমিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সারা বছর কাজ চললেও পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে তাদের দম ফেলানোর সুযোগ নেই। অতিরিক্ত অর্ডারের জন্য অগ্রিম টাকা নেওয়া হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে একটু সমস্যা হচ্ছে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের জন্য। তবে অন্য বছরের তুললায় ব্যবসা ভাল।
সোনার বাংলা টেক্সটাইলের স্বত্বাধীকারি রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, এখানকার উৎপাদিত শাড়ি ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান দখল করে নিয়েছে। বর্তমানে অধিক হারে অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে। প্রকারভেদে বৈশাখী শাড়ি ৩শ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা পাওয়া যায়।