কবিতা
হিস্যা
প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০১৭, ২১:২৪
মানি না এই জালিয়াতির বিচার
চাই না শুধু মন ভুলানী জঠরের ভার
সমান সমান হিস্যা চাই আমার।
সুখের হাটে আমি একলা তো করি নাই বাজার
কলঙ্ক যদি হয়, সেও ক্যান হবে না তার সমান অংশীদার?
বাপের ব্যাটা সে, মরদ একখান
বুক চিতাইয়া ঘুরে বাঘের লাহান
লজ্জায় যদি না নামে তারও চোকখের নজর
আমার কি দায়? দাগ ক্যান পড়ে একা আমার ভিতর?
পাপ যদি হয়, তারও হইছে সমান সমান
সে যদি পারে, আমিও হইতে পারি সমান পাষাণ।
ভালোবাসায় যদি খাদ ছিলো না একরত্তি
সুখের যদি ছিলো না একরত্তি ব্যবধান
তয় সেই সুখের ফসল যে একরত্তি প্রাণ
তার ক্যান দোষ হয়? তারে ক্যান অস্বীকার যান?
আমিও চিনিনা ওরে
জানিনা ওর জাত, কুল, বংশ পরিচয়।
যে দ্বৈতসুখের নেশায় ওর জন্ম, তা যদি পাপ গণ্য হয়
ওরে চেননের দায় আমারও একলার নয়।
ভালোবাসার কিচ্ছাটাতে সেও ছিলো সরব
ঘুমহীন চোখে সেও কাটাইছে কত রাইত!
চান্দের আলোয় ঘর থিকা বাইর হই যখন
হাতটায় ধরা ছিলো না কি আরেকখান হাত?
আমার শরীরে একাই কি ডাক দিছিলো নিশির আন্ধার?
তারও কি ঘোর লাগে নাই, ডাকে নাই তারে সুখের পাথার?
তয় কীসের এতো বিচার আচার?
যে আমার শরীরের সাথে শরীর মিলায়,
সুখের ভাগ নেয় সমান হিস্যায়
সে ক্যান নিষ্পাপ থাকে?
তার সুখের ফসল ক্যান পাপ হইয়া জন্মায়?
সরায়া নেও একরত্তি ওরে,
চোকখের সামনে থাকলে শুধুই মায়া বাড়ে
বুকের ভেতর মোচড়ায় উথাল পাথাল।
আমারে দুর্বল করে, মুহুর্তে করে পথের কাঙাল।
সুখের হিস্যা যদি সমান হইবার পারে
পাপের হিস্যাও আমার সমান চাই।
সে যদি অস্বীকার করবার পারে,
আমিও ওরে অস্বীকার যাই।
কে বানাইছে এই নিয়ম?
ডাইক্যা আনো তারে, জিগাই
ক্যান তার এমন নিদান?
ক্যান সে খালি আমার শরীরে চিহ্ন কাটে
আমারে ছাড়া ক্যান বাঁচে না একরত্তি পরাণ?