ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলতে যাচ্ছেন সেই জয়নাব
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০১৬, ২১:৫৫
এক ইরানি হতভাগ্য নারীর নাম জয়নাব সেকানভান্দ (২২)। হারিয়েছেন অনাগত সন্তানকে, হারিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের, যারা তাকে পরিত্যাগ করেছে।
হারিয়েছেন স্বাধীনতাকে, কারাগারের প্রকোষ্ঠে থেকে। এখন বাকি রয়ে গেছে যে জিনিসটা আছে তাও হারাতে চলেছেন জয়নাব। সেটা হলো জীবন।
এটি গরীব ইরানি কুর্দিশ এক কিশোরী বধূ জয়নাবের গল্প। আজ তার ফাঁসি হয়ে যেতে পারে। যদিও মানবাধিকার সংগঠনগুলো লড়ছে তাকে বাঁচাতে।
ইরানি ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন তার স্বামীকে। তখন জয়নাবের বয়স ছিল মাত্র ১৭। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, হত্যাকাণ্ডের সময় প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন না জয়নাব। সুতরাং তাঁকে ফাঁসি দেয়া অন্যায় হয়ে যাচ্ছে।
১৫ বছর বয়সে ভালোবাসা এবং সুযোগের খোঁজে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে হোসেইন সারমাদিকে বিয়ে করেন জয়নাব। তার থেকে চার বছরের বড় ছিলেন সারমাদি। জয়নাবের বিশ্বাস ছিল, একটা ভালো জীবন পাবেন তিনি তার স্বামীর কাছে। কিন্তু ঘটেছে তার উল্টো। সারমাদির কারণে জীবনটা জয়নাবের কাছে আরো কঠিন হয়ে যায়। কিশোরী বধূ জয়নাবকে নিয়মিত অত্যাচার করতো সারমাদি। পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল জয়নাব। স্বামীর কাছ থেকে তালাকও চেয়েছিল সে। সাহায্য চেয়েছিলেন পুলিশের কাছেও। কিন্তু কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। মুক্তি উপায় খুঁজতে গিয়ে হতবুদ্ধি জয়নাব বাধ্য হয়ে ছুরিকাঘাত করেন তার স্বামীকে। জয়নাব নিজের অপরাধও শিকার করেছেন পুলিশের কাছে। কিন্তু যার জন্য এতকিছু, একটু স্বাধীনতা, সেটা পাওয়ার আগে পৃথিবী ছাড়তে হচ্ছে জয়নাবকে।