‘নিষিদ্ধ দিনলিপি’র রয়েলিটির অর্থে সেলাই মেশিন প্রদান

প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০১৭, ২০:৪৩

জাগরণীয়া ডেস্ক

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জেসমিন চৌধুরীর প্রথম বই ‘নিষিদ্ধ দিনলিপি’ রয়েলিটির অর্থে এতিমখানায় বেড়ে উঠা মেয়েদের পুনর্বাসন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি ‘নিষিদ্ধ দিনলিপি’র রয়েলটির টাকা দিয়ে একটি এতিম মেয়েকে সেলাই মেশিন কিনে দেয়া হয়েছে।

এর আগে জেসমিন চৌধুরী জানিয়েছিলেন ‘নিষিদ্ধ দিনলিপি’র রয়েলটি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ এতিমখানার মেয়েদের পুনর্বাসনের কাজে ব্যয় করবেন।

জেসমিন চৌধুরী বলেছিলেন, ‘এই বইতে আমি নির্যাতিত নারী, শিশু, ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের গল্প লিখেছি, আমিও যাদের একজন। কাজেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বইয়ের বিক্রয়লব্ধ রয়েলটি সিলেটের একটি এতিমখানার মেয়েদের পুনর্বাসনের জন্য সেলাই মেশিন কেনার  কাজে ব্যয় হবে। যাদের গল্প নিয়ে এই বই, তাদের জন্যই ব্যয় হবে এর রয়েলটি”।

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নারীবাদী এই লেখক একটি ভিডিও ও ক্ষুদে বার্তা দিয়েছেন। সেখানে সেলাই মেশিন পাওয়া এতিম মেয়েটি জানিয়েছে, ‘এই সেলাই মেশিনের মাধ্যমে সে তার কলেজে পড়ার খরচ জোগার করতে পারবে”। 

ফেসবুকের ঐ ক্ষুদে বার্তায় জেসমিন লিখেছেন, “পূণ্য অর্জনের জন্য যে দান তা ডান হাতে করলে বাম হাত টের না পাওয়া ভাল বলে বিবেচিত হতে পারে, কিন্তু পরিবর্তনের জন্য করা যে কোনো কাজের প্রচার হওয়া উচিৎ। নিষিদ্ধ দিনলিপির রয়েলটির টাকা দিয়ে একটি প্রাপ্তবয়স্ক এতিম মেয়ের পুনর্বাসনের জন্য সেলাই মেশিন কিনে দেয়া হয়েছে যা ব্যবহার করে সে কলেজে পড়ার খরচ জোগাড় করবে। অতি সত্তর আরো একটি মেয়েকে দেয়া হবে। আমার মতে এদেরকে কেউ কিছু দান করেনি বরং তাদের অধিকারের খানিকটা তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে মাত্র। ”

প্রসঙ্গত, ‘অমর একুশে বইমেলা ২০১৭’ এ ৫ ফেব্রুয়ারি শব্দশৈলী প্রকাশনী থেকে জেসমিন চৌধুরীর নিষিদ্ধ দিনলিপি বইটি প্রকাশিত হয়। বইমেলায় পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের সাথে বেশ কিছুদিন অন্তরঙ্গ সময় কাটিয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আবারো যুক্তরাজ্যে নিজের কর্মজীবনে ফিরে গিয়েছেন এই প্রবাসী লেখক।

 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত