‘দারিদ্র্য দূরীকরণ শান্তি প্রতিষ্ঠার অন্যতম পূর্ব শর্ত’

প্রকাশ : ১৫ জুন ২০১৬, ১২:৩৯

জাগরণীয়া ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মতো দক্ষিণ এশিয়াতেও বিস্তৃতি লাভ করেছে যা আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য হুমকিস্বরূপ। তবে, সম্প্রতি জাপানে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনের সময়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ বিশ্ব নেতারা ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

বুধবার (১৫ জুন) সকালে দশম জাতীয় সংসদের একাদশতম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।  

সংসদ নেতা জানান, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ এমন একটি বিষয় যেকোন আন্তর্জাতিক ফোরামের আলোচনায় সেটা আন্তর্জাতিক হোক, আর দ্বিপাক্ষিক হোক, সব সময় উঠে আসে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের সরকারের যে জিরো টলারেন্স ও কঠোর অবস্থান তা বিশ্ব নেতারা জানেন। জি-৭ সম্মেলনে আমার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও অনানুষ্ঠানিক কথা প্রসঙ্গে জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের যে পদক্ষেপ তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিশ্ব নেতারা। সবার সহযোগিতায় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে সফল হবো বলে আমরা আশা করি। 

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মতো দক্ষিণ এশিয়ায়ও বিস্তৃতি লাভ করেছে যা আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য হুমকিস্বরুপ। এরূপ বাস্তবতায়, নিরাপত্তা সহযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়াকে একটি শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ অঞ্চলের দেশগুলোর একত্রে কাজ করতে পারে।’
 
শেখ হাসিনা বলেনে, ‘আমাদের মহান মুক্তিযদ্ধের মূল চেতনা ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত বাংলাদেশ গড়া। আমরা মুক্তিযুদ্ধের এ চেতনার বিস্তৃতি ঘটিয়ে বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়াকেও একটি দারিদ্র্যমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছি।’
 
দারিদ্র্য দূরীকরণ যেহেতু শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি অন্যতম পূর্ব শর্ত। তাই অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দক্ষিণ এশিয়া স্বাভাবিকভাবে শান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়ায় রূপ নেবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন তখনই সম্ভব হবে যখন নারীদের শিক্ষা ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা যাবে। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধু উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন, একজন নারী যদি দশটা টাকা আয় করতে পারে, আঁচলে থাকে তাহলে সমাজে তার গুরুত্ব বাড়ে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিভিন্ন সময় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমি একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের ধারণাটা পেয়েছি।   
 
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ শহিদুজ্জামান সরকারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার সাম্প্রতিক সৌদি আরব সফর অত্যন্ত সফল হয়েছে। আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে সন্মান পাচ্ছি সেটি আমার একার নয়, বাংলাদেশের ও দেশের জনগণের সন্মান। আমি এদেশর মানুষের কল্যাণে কাজ করছি। আমার কাজের মূল্যায়ন বিশ্ব নেতারা করেছেন। এজন্য বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। তারা ভোট দেয় নির্বাচন করেছে বলেই আমি এ কাজ করতে পারছি। দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত