ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাঙচুর-লুটপাট : মাটিতে পড়ে প্রতিমার ভাঙা মাথা
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০১৬, ০০:৩৮
ধর্মানুভুতিতে আঘাতের বিষয়ে মুখে ফেনা তুলে এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের শতাধিক ঘরবাড়িসহ পাঁচটি মন্দিরে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১২টা নাগাদ এই ভাঙচুর-লুটপাটের সময় অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষকে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে জানা গেছে। ঘটনার পরবর্তী ওই এলাকায় র্যাব, পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিকেলে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান ও পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পবিত্র কাবা শরীফ নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র করে পোস্ট দেওয়ার প্রতিবাদে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় নাসিরনগর উপজেলার ওই এলাকাটি। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রসরাজ দাস নামের ওই যুবকের ফাঁসির দাবিতে স্থানীয়রা সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। এরপরই পালটে যায় পরিস্থিতি। শত শত লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নাসিরনগর সদরের দত্তবাড়ির মন্দির, নমশূদ্রপাড়ার মন্দির, জগন্নাথ মন্দির, ঘোষপাড়া মন্দির, গৌরমন্দিরসহ ৫টি মন্দির গুড়িয়ে দেয়।
নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন দেব বলেন, “বিকেলের পর পরিস্থিতি দৃশ্যত শান্ত হলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এ ঘটনার জন্যে জামায়াত শিবিরকে দায়ী করে বলেন, এ ঘটনার নেপথ্যে যারা তাদের খুঁজে বের করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ৬ জন হামলাকারীদের আটক করা হয়েছে। প্রতিটি ভাঙচুরের ঘটনায় আলাদা আলাদা মামলার প্রস্তুতি চলছে।