শ্যামনগরে পাউবোর বেড়ি বাঁধে ফের ভাঙ্গন
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০১৭, ১২:১২
সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলায় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পূর্ব দূর্গাবাটি খোলপেটুয়া নদীর পানিউন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাঁধে ফের বড় আকারে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। যে কোন মুহূর্তে বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে ভাঙ্গনকৃত এলাকায় রিং বাঁধের কাজ চলছে।
বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল জানান, পূর্ব দূর্গাবাটি গ্রামে গাজী আনিছুজ্জামান এর চিংড়ি ঘের থেকে হাজী মুজিবর রহমানের চিংড়ি ঘের পর্যন্ত অনুমান ১২ শত ফিট বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র সময়ে খোলপেটুয়া নদীতে জোয়ারের অতিরিক্ত পানির চাপে বাঁধ উপচে পানি ভিতরে প্রবেশ করে। বর্তমানে ভাঙ্গনকৃত এলাকায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ও ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমেও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় বাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে। কিন্তু যে রিং বাঁধটি দেওয়া হচ্ছে সেটি মজবুত কোন বাঁধ নয় যে কোন মুহূর্তে জোয়ারের পানির চাপে ভেঙ্গে যেতে পারে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, দূর্গাবাটির বাঁধ ভেঙ্গে গেলে পশ্চিমদূর্গাবাটি, পোড়াকাটলা, পশ্চিম পোড়াকাটলা, টুংগীপাড়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, বুড়িগোয়ালিনী, কলবাড়ী ও আটুলিয়া ইউপির বীরসিংহ, বড়কুপট, ছোটকুপট সহ অন্যান্য এলাকা প্লাবিত হতে পারে। এলাকার কয়েক হাজার চিংড়ি ঘের, পুকুর পানিতে তলিয়ে যাবে ও অন্যান্য সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হবে।
মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল বলেন, বর্তমানে নদীতে জোয়ারে অতিরিক্ত পানির চাপ বাড়ছে। ফলে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের কিছু স্থানে বেড়ি বাঁধের অবস্থা ভাল নেই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা বলেন পদ্মপুকুর ইউনিয়নের খুটিকাটা, কামালকাটি, চরচন্ডিপুর, বন্যতলা নামকস্থানে প্রায় ৩ হাজার ফিট, কাশিমাড়ী ইউপির ঝাঁপালি নামক স্থানে ৩ শত পঞ্চাশ ফিট, পূর্ব কৈখালীতে ৩ শত ফিট বেড়ি বাঁধের অবস্থা ভাল নেই এবং এ বাঁধগুলি সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজজামান বলেন, এটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায়। তারপরও আমরা মেরামতের কাজ করছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলা হয়েছে। তারা এই এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিএম আব্দুল মোমিন বলেন, বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙ্গন ঠেকাতে প্রাথমিকভাবে বালুর বস্তা দেওয়া হয়েছে এবং স্থায়ীভাবে মেরামতের জন্য খুলনা বিভাগীয় কমিশনার স্যারের কাজে আবেদন করা হয়েছে।