ধ্বংসযজ্ঞ শেষে ঘরে ফিরেছে মানুষ
প্রকাশ : ৩১ মে ২০১৭, ১৪:০৫
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাত থেকে বাঁচতে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়া কক্সবাজার বিভিন্ন স্থানের তিন লাখ মানুষ বাড়ি ফিরে গেছে। ‘মোরা’র প্রভাব থামার পর সকাল ১১টা থেকে লোকজন বাড়ি ফিরতে শুরু করে। বেলা ৩টা নাগাদ সবাই বাড়ি ফিরে গেছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিশ্চিত করেছেন। সকালের দিকে মহাবিপদ সংকেতের মুখে তারা বাড়ি ফিরলেও দুপুরের পর বিপদ সংকেত কমে যায়।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের মধ্যে পুরো কুতুবদিয়া উপজেলা, কক্সবাজার পৌরসভা এলাকার ১নং ওয়ার্ড, মহেশখালীর মাতারবাড়ি, ঘলঘাটা, কুতুবজোম, সোনাদিয়া, টেকনাফের বাহারছড়া, সাবরাং ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন, পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়াসহ আরো কয়েকটি উপকূলীয় এলাকা, চকরিয়া ও কক্সবাজার সদরের পোকখালী, খুরুশকুল এলাকার অন্তত তিন লাখ মানুষ ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাত থেকে বাঁচতে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন। এর মধ্যে ছিলো সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সোমবার ইফতারের পর থেকে এসব মানুষ নিরাপদে চলে আসে। সারা রাত সেখানে অবস্থান করে মঙ্গলবার সকাল ৮টার পরে ‘মোরা’ থেমে গেলে আশ্রয়প্রার্থীরা বাড়ি ফিরে যেতে মরিয়া হয়ে উঠে। তবে বিপদ সংকেত না কমায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের নিষেধ করা হয়। প্রশাসনের কঠোর বারণের মুখেও মানুষগুলো বাড়ির পথ ধরে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, আমরা পাঁচ লাখ মানুষের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা রেখেছিলাম। কিন্তু তত মানুষ ঝুঁকিতে ছিলো না। ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় তিন লাখ মানুষ বাড়ি ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নেয়। তাদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইফতার ও সেহেরির ব্যবস্থা করা হয়। ‘মোরা’ থামার পর তারা বাড়ি ফিরতে শুরু করলে বিপদ সংকেত না কমায় আমরা তাদের নিষেধ করি। কিন্তু নিষেধের মুখে অনেকে বাড়ি ফিরে যায়। বাকিরা পরে ফিরে।