যৌন হয়রানি: শাবি ছাত্রলীগের ৩ নেতার বিরুদ্ধে পরোয়ানা
প্রকাশ : ২১ মে ২০১৭, ১৯:০৮
স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তী পার্থসহ তিন নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এই রায় দেন।
২১ মে (রবিবার) সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক মুহিতুল হক এ পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক জানান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ ছাড়াও ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ রিয়াদ ও মাহমুদুল হাসান রুদ্রর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, গত ১২ এপ্রিল সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এই তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞতানামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন যৌন হয়রানির শিকার স্কুলছাত্রীর মা। তিন আসামির বিরুদ্ধে গত ৮ এপ্রিল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে মেয়েকে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেন।
মামলার এজাহারে বাদি অভিযোগ, নগরের পাঠানটুলা দ্বিপক্ষীয় উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া তার মেয়ে ওই দিন এক আত্মীয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেড়াতে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়। মামলা দায়েরের পর ওই দিনই বিচারক বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
সিলেটের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা তাসলিমা শরমিনের নেতৃত্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্তকারী দল যৌন হয়রানিতে তিন আসামির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায়। ৪ মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ২১ মে (রবিবার) শুনানি শেষে মামলা আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাজ্জাদ রিয়াদ স্কুলছাত্রীর উদ্দেশে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেন ও সিগারেটের ধোঁয়া মুখে ছোড়েন। আসামি মাহমুদুল হাসান স্কুলছাত্রীকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এ দুজনের অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অপরাধ সংঘটিত করেছেন মর্মে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। অপর আসামি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ ঘটনার সময় আক্রান্ত ছাত্রীর সঙ্গে থাকা ফুপাতো ভাইকে মারধর করে যৌন হয়রানির কাজে সহযোগিতা করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।