ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে
প্রকাশ : ১৩ মে ২০১৭, ১৩:২২
রাজধানীর বনানীতে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে বলেও দাবি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তা।
১২ মে (শুক্রবার) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) হেফাজতে তাদের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে (ডিবি) রাখা হয়েছে।
১১ মে (বৃহস্পতিবার) রাতে সিলেট থেকে সাফাত ও সাদমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা থেকে পুলিশ সদর দফতরের বিশেষ একটি টিম সিলেটের স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গ্রেপ্তার অভিযান চালায়।
উল্লেখ্য, দুই ছাত্রী ঢাকার বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করে ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওই দুই তরুণীকে জন্মদিনের দাওয়াত দেয়। এরপর তাদের বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি নামের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানে দুই তরুণীকে হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম। এ ঘটনা সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিও করানো হয় বলেও উল্লেখ করা হয় এজাহারে। ধর্ষণ মামলার আসামিরা হলো- সাফাত আহমদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী।