অস্ত্রের মুখে দুই তরুণী ধর্ষণ
খোঁজ নেই ‘ধর্ষক’ সাফাতের
প্রকাশ : ০৯ মে ২০১৭, ১৫:৩৭
রাজধানীর বনানীতে হোটেল দ্য রেইন ট্রিতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুই তরুণীকে ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদকে খুজে পায়নি পুলিশ।
৯ মে (মঙ্গলবার) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশান ২ নম্বর সেক্টর এর ৬২ নম্বর রোডে সাফাতের নিজ বাড়ি ‘আপন ঘরে’ অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। বাড়িটির হোল্ডিং নম্বর এন ডব্লিউ (সি)।
বনানী থানার দুই উপপরিদর্শক (এসআই) ৮-১০ জন পুলিশ সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে অংশ নেন।
অভিযান শেষে বাড়ি থেকে বের হয়ে বনানী থানার এসআই মিল্টন দত্ত সাংবাদিকদের জানান, সাফাত আহমেদকে ধরতেই তারা এই বাসায় এসেছিলেন। কিন্তু আসামিকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সাফাতের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে সাফাত এর পাসপোর্ট পাওয়া যায়নি।
দিলদার আহমেদ বলেন, ‘৮ মে (সোমবার) সকাল পর্যন্ত সাফাত বাসায় ছিল, এখন কোথায় আছে, তা আমি জানি না। আসামিকে গ্রেপ্তারের অধিকার পুলিশের আছে। পুলিশ আমার বাসায় তল্লাশি চালাচ্ছে।’
মামলা দায়েরের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ওই দুই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ধর্ষণের আলমত সংগ্রহ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডাক্তার সোহেল মাহমুদ। তিনি জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি প্রায় দেড় মাস আগের, সে জন্য আদৌও কোনো আলামত পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে ৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওই দুই তরুণীকে জন্মদিনের দাওয়াত দেয়। এরপর তারা তরুণী ছাত্রীদের বনানীর কে-ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে নিয়ে যায়। এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানে জন্মদিনের অনুষ্ঠান চলাকালীন দুই তরুণীকে হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম।