বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণ
আসামিদের বিদেশ পালানো রুখতে ‘সতর্ক’ রয়েছে পুলিশ
প্রকাশ : ০৮ মে ২০১৭, ২৩:৫৪
বনানীতে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণে জড়িতরা যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে এই ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে পুলিশ।
ডিবির উপ কমিশনার শেখ নাজমুল আলম জানান, আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তারে বনানী থানা পুলিশের সঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মামলাট দায়েরের ৪৮ ঘন্টা পর এখনও পাঁচ আসামির কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
আজ ৮ মে (সোমবার) ডিবির উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, “তদন্তের স্বার্থে আসামিরা কোথায় আছে, তা বলা যাবে না। তবে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।”
এর আগে যুদ্ধাপরাধের মামলার আসামি আবুল কালাম আযাদ (বাচ্চু রাজাকার) পুলিশের ‘নজরদারিতে’ থাকার মধ্যেই বিদেশি পালিয়ে যান। আলোচিত মামলায় বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার নজির আরও রয়েছে। এর মধ্যে ইতালীয় নাগরিক চেজারে তাভেল্লা হত্যামামলার আসামি বিএনপি নেতা এম এ কাউয়ুম, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের আসামি কাউন্সিলর নূর হোসেনও রয়েছেন। নূর হোসেনকে পরে ভারত থেকে ফেরত আনা হয়।
তবে অপরাধীরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়ে নাজমুল বলেন, “আসামিরা যাতে দেশ ছাড়তে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।”
এখন পর্যন্ত কোনো আসামির দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার তথ্য পুলিশের কাছে নেই বলে জানান এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বনানীর ‘দি রেইনট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে ঐ দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে মামলা করেছেন দুই তরুণীর একজন। আসামিদের মধ্যে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ (২৬) রয়েছেন। অন্য আসামিদের মধ্যে নাঈম আশরাফ (৩০) একজন ঠিকাদারের ছেলে, সাদমান সাকিফ (২৪) পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে। বাকি দুই আসামির একজন সাফাতের দেহরক্ষী ও অন্যজন গাড়িচালক।
এজাহারে ধর্ষণকারী হিসেবে সাফাত ও নাঈমের নাম উল্লেখ করা হয়। বাকি তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয় সহযোগী হিসেবে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সাফাত, নাঈম, সাদমান এবং ঢাকার একজন সংসদ সদস্যের ছেলে বনানী ১১ নম্বর সড়কে একটি রেস্তোরাঁ চালান। এছাড়া তাদের একাধিক সীসা বার রয়েছে।